বিরিয়ানি ডেলিভারি দিয়ে দিয়েছিলেন। তবে পুরী, সবজি বানিয়ে দিতে দেরি হবে বলা হয়েছিল। আর তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন সুইগির এজেন্ট। প্রথমে শুরু হয় তর্কাতর্কি। পরে রেস্তোরাঁর মালিককেই গুলি করে দিলেন ওই এজেন্ট। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
নয়ডায় একটি আবাসনের নীচে সুনীল আগরওয়াল নামের এক যুবকের একটি রেস্তরাঁ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেখানে একটি অর্ডার নিতে যান ওই ডেলিভারি বয়। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি খাবারের অর্ডার দেওয়া ছিল। তার মধ্যে একটি খাবার তৈরি হয়ে গেলেও অন্য খাবারটি দিতে একটু দেরি হয়। সেই ঘটনা নিয়েই রেস্তরাঁর এক কর্মীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান ওই ডেলিভারি বয়। ঘটনার মধ্যস্থতা করতে আসেন সুনীল। তখনই ওই যুবক তাঁর মাথায় গুলি করেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে রেস্তরাঁর কর্মীরা সুনীলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রাকেশ নাগর নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমাকে রেস্তরাঁর এক কর্মী ফোন করে বলে সুনীলকে কেউ গুলি করেছে। আমি যাওয়ার পরে দেখি সুনীল তখনও বেঁচে আছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দিই। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি হওয়ায় নিজেদের গাড়িতেই আমরা ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। রাস্তাতে মৃত্যু হয় সুনীলের।’’
ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেগতিক বুঝে দ্রুত চম্পট দেয় ওই ডেলিভারি বয়। সংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালানোর। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিশাল পাণ্ডে নামের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। সিসিটিভি দেখে আমরা তাঁর খোঁজ করছি। খাবার ডেলিভারি সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’