‘ভারত জড়ো আন্দোলনের’ ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিল্লির যন্তর-মন্তরে উঠল মুসলিম বিরোধী স্লোগান৷ অনুষ্ঠানের আয়োজক ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়৷ তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের অনুমতি না নিয়ে জমায়েত এবং কোভিড বিধি অমান্যের অভিযোগ উঠেছে৷
দিল্লি পুলিশের এক অফিসার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি চেয়েছিলেন৷ কিন্তু কোভিড গাইডলাইনের জন্য জমায়েতের অনুমতি প্রথমে দেওয়া হয়নি৷ পরে অশ্বিনী উপাধ্যায় জানান, তিনি ছোটো জায়গায় অনুষ্ঠানটি করতে চান৷ ৫০ জন লোক সেখানে হাজির থাকবেন৷ সেই মত পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর পর হঠাৎ দলে দলে লোক আসতে শুরু করে৷ তাতে বড় জমায়েত হয়ে যায়৷ প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু হঠাৎ স্লোগান দিতে শুরু করেন৷
আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারের ছবি টুইটের জের! সাময়িকভাবে সাসপেন্ড Rahul Gandhi’র টুইটার
प्रधानमंत्री जी से निवेदन है कि अंग्रेजी कानून समाप्त करें और समान शिक्षा समान चिकित्सा समान कर संहिता समान दंड संहिता समान श्रम संहिता समान पुलिस संहिता समान न्यायिक संहिता समान नागरिक संहिता समान धर्मस्थल संहिता समान जनसंख्या संहिता लागू करें? @narendramodi pic.twitter.com/2yBChEj608
— Ashwini Upadhyay (@AshwiniUpadhyay) August 9, 2021
উদ্যোক্তাদের দাবি, দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে হবে৷ তুলে দিতে হবে ঔপনিবেশিক আইন৷ এর পরই ওঠে স্লোগান৷ ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও-তে মুসলিম বিরোধী নানা স্লোগান শোনা গিয়েছে৷ মুসলিমদের খুন করতে হবে এমন স্লোগানও ভিড়ের মধ্যে শোনা যায়৷ ‘ন্যাশনাল দস্তক’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের রিপোর্টারকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করে উত্তেজিত জনতা৷ তিনি বলতে না চাওয়ায় জনতার ভিড় থেকে শোনা যায় ‘ও নিশ্চয় জেহাদি’৷
গোটা ঘটনায় কাঠগড়ায় দিল্লি পুলিশ৷ কোভিড বিধি ভঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নিল না পুলিশ সেই প্রশ্ন উঠছে৷ রবিবার ডিসিপি দীপক যাদব জানিয়েছেন, সব ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হবে৷ তার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷সোমবার জানা যায়, অজ্ঞাত পরিচয় কিছু ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। যথেষ্ট প্রমান থাকা সত্ত্বেও কেন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল সেই প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গার আগে এমন ভাবেই বিজেপির মিছিল থেকে দেওয়া হয়েছিল স্লোগান। তারপরই ছড়িয়ে পরিয়ে ছিল ভয়াবহ দাঙ্গা। যাতে প্রাণ যায় বহু সংখ্যালঘুর। দিল্লি পুলিশ সেই সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল। এবার হাবভাব ঠুঁটো জগন্নাথের মতই।
আরও পড়ুন: সোমবার ব্যাপক পড়ল দাম, ৪ মাসে সবথেকে সস্তা সোনা, বড় পতন রুপোরও