রূপকথার বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই সম্পর্কে ছেদ পড়ল। দুই আইএএস আধিকারিক টিনা দাবি ও আতহার আমির খানের বিবাহ বিচ্ছেদে সিলমোহর দিল জয়পুরের পারিবারিক আদালত। গত নভেম্বরে পারস্পরিক সম্মতিতে আদালতে ডিভোর্সের মামলা করেন তাঁরা। বুধবার বিচ্ছেদে স্বীকৃতি দিয়ে দিল আদালত।
২০১৮ সালে দুই আইএএস-এর বিয়ে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দেশে। টিনা এবং আতহারের প্রেমকাহিনি শুরু হয়েছিল মুসৌরিতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে। ২০১৫ সালের ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। দ্বিতীয় হয়েছিলেন আতহার। তারপর প্রশিক্ষণ চলেছিল মুসৌরিতে। দু’জনেই রাজস্থানের ক্যাডারের অফিসার। প্রাথমিকভাবে জয়পুরে তাঁদের পোস্টিং হয়েছিল। পরে শ্রী গঙ্গাধরনগরে জিলা পরিষদে চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন টিনা। আপাতত রাজস্থান সরকারের অর্থ দফতরের যুগ্মসচিব (কর) হিসেবে কর্মরত তিনি। যে পদে গত বছর যোগ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের হয়ে ডেপুটেশনে কাজ করছেন আতহার। যিনি আপাতত শ্রীনগরে পোস্টিংয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: সংসদের মর্যাদা ধ্বংস হচ্ছে,আপনাদের আচরণে সারারাত ঘুমাতে পারিনি,কেঁদে ফেললেন বেঙ্কাইয়া নাইডু
দুজনের বিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়েছিল। তবে এই নিয়ে বিরোধের মুখেও পড়েন তাঁরা। তবে মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়েতে হাজির ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু-সহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যে বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
গত বছর নভেম্বরে পারস্পরিক সহমতিতে বিচ্ছেদের মামলা করেন তাঁরা। বুধবার বিচ্ছেদে স্বীকৃতি দিল আদালত। কেন বিয়ে ভাঙল সেই নিয়ে দুপক্ষই নীরবতা অবলম্বন করেছেন। বুধবার বিচ্ছেদের খবর সামনে আসার পর টিনা নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘যাই কর কেন, লোকজন কথা বলবেই। তাই সেটাই করা উচিত যা নিজেকে আনন্দ দেয় এবং জীবনে ভালো থাকতে সাহায্য করে।’
আরও পড়ুন: চলল মারধর – ‘জয় শ্রীরাম’ বলানো, বাবাকে বাঁচাতে কান্না মেয়ের, যোগীর রাজ্যে ফের নিগৃহীত মুসলিম ব্যক্তি