Site icon The News Nest

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি ফাঁস করা প্রাক্তন এই আমলা হলেন প্রধানমন্ত্রীর নয়া উপদেষ্টা

amit

লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি ফাঁস করা থেকে শুরু করে জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) প্রণয়ণ। ডিজিটাল মিডিয়ার নিয়মে আমুল বদল আনার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ হেন আমলা এবার পরামর্শ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi)। আগামী দু’বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হলেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং শিক্ষা মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব অমিত খারে।

১৯৮৫ ব্যাচের ঝাড়খণ্ড ব্যাচের আইএএস খারে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রকের সচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শিক্ষা মন্ত্রকের সচিবের পদে ছিলেন তিনি। তাঁর আগে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে তিনি কাজ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব পদে। কেন্দ্রের শীর্ষ আমলা পদে দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন খারে। প্রত্যুতপন্নমতিত্ব এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এটাই এই আমলার ইউএসপি। এ হেন আমলাকে আগামী লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করে আসলে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই তুলে ধরার চেষ্টা করল কেন্দ্র।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের নিয়োগ কমিটি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “অমিত খারেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হল। তিনি চুক্তির ভিত্তিতে ভারত সরকারের সচিব পদমর্যাদায় কাজ করবেন। সচিব পদের কোনও আধিকারিককে পুনরায় চাকরিতে বহাল করার ক্ষেত্রে যে যে শর্ত এবং নিয়ম মানতে হয়, সবটাই তাঁকে মানতে হবে। আপাতত তাঁকে দু’বছরের চুক্তি বা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া পর্যন্ত এই পদে নিয়োগ করা হল।”

প্রসঙ্গত, চলতি বছরই একপ্রকার আচমকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রদীপ কুমার সিনহা। প্রায় দেড় বছর মোদির (Narendra Modi) প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন সিনহা (PK Sinha)। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন এই আমলা। পদত্যাগের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও, সরকারিভাবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই তিনি ইস্তফা দেন। তারপরই অমিত খারেকে তাঁর পদে নিয়োগ করা হল। খারে ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। এর আগে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদেও কাজ করেছেন এই আইএএস আধিকারিক।

 

Exit mobile version