শনিবার বিকালে আচমকাই পদত্যাগ করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (vijay rupani)। আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা ভোট হবে গুজরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্যে ভোটে হারাজেতার ওপরে বিজেপির প্রেস্টিজ অনেকাংশে নির্ভর করছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কেন ইস্তফা দিলেন জানা যাচ্ছে না।
মাত্র ৬ মাসে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই নিয়ে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী (BJP Chief Minister) পদত্যাগ করেছেন, বা বলা ভাল যে তাঁদের ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। শনিবারের আগে পর্যন্ত এমন মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা তিন ও রাজ্যের সংখ্যা দুই ছিল। গত কয়েক ঘণ্টায় সংখ্যাটা বেড়ে চার ও তিন হয়ে গিয়েছে।
২০২২ সালে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গুজরাট এবং উত্তরাখণ্ডে। তার পরের বছর নির্বাচন কর্নাটকে। এই তিন রাজ্যের নেতৃত্ব দিয়ে কয়েক বছর যাবৎ দলের অন্দরেই অসন্তোষ দানা বাঁধছিল বলে খবর। ক্ষোভের আঁচ দিল্লি পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছিল অচিরেই। তারপরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বই মুখ্যমন্ত্রীদের সরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। যা মেনে নিয়ে প্রথমে ইয়েদুরাপ্পা ও এ বার রূপাণীও আসন ছাড়লেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের বাইরে গাছের ডাল কেটে বিক্ষোভরত কৃষকদের ‘শাস্তি’ দিল হরিয়ানা সরকার
উত্তরাখণ্ডের বিষয়টি অবশ্য অন্যরকম ছিল। ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী পদে এলেও শপথ নেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যে কুর্সি ছাড়তে হয় তিরথ সিং রাওয়াতকে। তাঁর ৪ মাসের মেয়াদই ছিল বিতর্কে ঘেরা। সেই কারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি বিজেপি।
উত্তর প্রদেশের মাঝে একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যোগী আদিত্যনাথ সরকার রীতিমতো নাকানিচোবানি খায়। যার পরেই যোগীর তলব আসে দিল্লি থেকে। এক সময় মনে হচ্ছিল, যোগীর বিকল্প খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি। তবে এখনও বিজেপিরই বহু বিধায়ক দলের বিরুদ্ধেই অসন্তুষ্ট রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বিমান ব্যবহার করেই ৯/১১-র পুনরাবৃত্তির হুমকি ! হাড় হিম করা ফোনে ত্রস্ত রাজধানী