Site icon The News Nest

19-Party Meet: বিরোধী মতানৈক্য দূরে সরিয়ে একজোট হওয়ার বার্তা সনিয়ার, গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক মমতার

meeting

২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। বছর তিনেক হাতে থাকলেও এখন থেকেই বিরোধী দলগুলির ফ্রন্ট তৈরি করতে হবে বলে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রীর কথাই শুক্রবার শোনা গেল সনিয়া গান্ধীর মুখে। এ দিন ১৯ বিরোধী দলের বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, পাখির চোখ ২০২৪। সেটা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা সাজাতে হবে বিরোধীদের। তিনি বলেন,’এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমাদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ এছাড়া কোনও বিকল্প নেই। এখন থেকে আমাদের একটাই লক্ষ্য- স্বাধীনতা সংগ্রামের নীতি এবং সংবিধানের মূল্যবোধগুলি পাথেয় করে চলবে এমন সরকার গঠন।’

শুক্রবারের বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে যেমন মমতা হাজির ছিলেন তেমনই ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। উপস্থিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। মোট ১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও যোগ দেয়নি মুলায়ম, অখিলেশ যাদবদের সমাজবাদী পার্টি।

রাজনৈতিক মহলে জল্পনা খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন দলের নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক ডাকতে পারেন সনিয়া। তার আগে শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল সলতে পাকানোর। কী ভাবে বিজেপি-র বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াই করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সদ্য শেষ হওয়া বাদল অধিবেশনে বিরোধী দলগুলি যে ঐক্যের ছবি দেখিয়েছে তা আগামী দিনে সংসদের ভিতরে ও বাইরে কী ভাবে বজায় রাখা যায় তাও আলোচ্য ছিল।

আরও পড়ুন: রেস্তোরায় বসে কথা পর্যন্ত বলতে দেওয়া হচ্ছে না’, ত্রিপুরায় গর্জে উঠলেন Saayoni Ghosh

কংগ্রেস সভানেত্রী আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনই প্রধান লক্ষ্য। দেশকে এমন এক সরকার উপহার দিতে হবে যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। ‘ সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী শাসিত রাজ্যের সব মুখ্যমন্ত্রীই কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে সহমত হয়েছেন৷ তাঁরা অভিযোগ করেন, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ফলে এবার সেই রাজ্যগুলিরও একজোট হয়ে কেন্দ্রের মোকাবিলায় নামতে হবে৷

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার নিয়ে সরব হওয়ার জন্য বিরোধী নেতাদের কাছে আবেদন জানান৷ পাশাপাশি, করোনা প্রতিষেধক বণ্টন নিয়ে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়েও সরব হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পাশাপাশি পেগাসাস ইস্যু নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷

তবে কংগ্রেস যে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে চায়, তার ইঙ্গিতও এ দিন দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। যা নিয়ে পরে বিরোধীদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ কংগ্রেসের সেই শক্তি আর নেই। রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির প্রভাবই বেশি। বিরোধী নেতানেত্রীদের ‘বেসুরো’ ভাবনা আঁচ করে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী বলেন,’এমনটা হতে পারে না যে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই।’

আরও পড়ুন: সূচ-বিহীন প্রথম ভ্যাকসিন ভারতে, জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেল জাইডাস ক্যাডিলা

Exit mobile version