মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রস্তাবে অনুমোদনও দিয়েছে ক্যাবিনেট। এর জন্য আইনেও সংশোধন করবে সরকার। ২০২০ সালের ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় নিজের ভাষণে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, কন্যাসন্তানদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে হলে তাঁদের বিয়ে সঠিক সময়ে দিতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জেনেছে, এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরেই ২০০৬-এর বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ১৯৫৫-এর হিন্দু বিবাহ আইনে সংশোধনী আনবে কেন্দ্রীয় সরকার।
নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক বিকে পালও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য। এছাড়াও টাস্কফোর্সের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, নারী ও শিশু উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা, স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা মিশন এবং বিচার ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স নিয়ে পর্যালোচনা করা টাস্ক ফোর্সের প্রধান জয়া জেটলি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, “আমাদের এই সুপারিশের পিছনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের যুক্তি ছিল না। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে তাঁদের প্রকাশিত তথ্যে ইতিমধ্যেই দেখিয়েছে যে, ফার্টালিটি রেট কমছে এবং জনসংখ্যাও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই সুপারিশের পিছনে যেটা আছে, তা হল নারীর ক্ষমতায়ন।”
কেন্দ্রীয় সূত্র জানাচ্ছে কমিটির আরও সুপারিশ রয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যৌন শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলের পাঠ্যক্রমে চালু করা। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মহিলাদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা এবং ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ এবং জীবিকা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা, যাতে বিবাহযোগ্য বয়স বৃদ্ধি কার্যকর করা যায়। কেন্দ্র জানাচ্ছে মেয়েরা যদি দেখাতে পারে যে তারা আর্থিকভাবে স্বাধীন, অভিভাবকরা তাদের তাড়াতাড়ি বিয়ে করার আগে দুবার ভাববেন।