ভারতে ধামাচাপা মানুষ পাচার, উদ্বিগ্ন আমেরিকা, আসছে নতুন আইন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জাতীয় ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর কাছে ২০১৮-র পরে ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানুষ পাচার সংক্রান্ত নথি মেলেনি। ফলে পরপর দু’বছর একই নথি ধরা হয়েছে ওই পরিসংখ্যানে। আমেরিকার বিদেশ দফতরের সদ্য প্রকাশিত ২০২১-এর মানব পাচার সংক্রান্ত রিপোর্টে ভারত বিষয়ক পরিচ্ছেদে এমনটাই বলা হয়েছে। রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতরের এক কর্তা শুক্রবার বলেন, “এই বিষয়ে পুলিশই বলতে পারবে।” কিন্তু রাজ্য পুলিশের কাছে সদুত্তর মেলেনি।

সামগ্রিক ভাবে গোটা দেশেই পাচার সংক্রান্ত ফিরিস্তিতে বাস্তব এবং কাগুজে তথ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাকের দিকেই আঙুল তুলেছে আমেরিকার রিপোর্ট। পাচার মোকাবিলায় নানা স্তরে সমন্বয়ের অভাব। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসেব মিলিয়ে অন্তত ৮০ লক্ষ মানুষ পাচারের শিকার। তবে সরকারের হাতে তেমন সামগ্রিক হিসেব নেই। হোমগুলিতে অডিট কার্যত হয় না। বিশেষ করে ‘বন্ডেড লেবার’ বা বেগার শ্রমিকদের সঙ্কটকে পাচার বলে স্বীকার করতেই এ দেশে অনেকেরই দ্বিধা রয়েছে এখনও। কেন্দ্রীয় শ্রম ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ২০১৯-এ সংসদে ১৯৭৬ থেকে সেই সময় পর্যন্ত বেগার শ্রমিক হিসেবে তিন লক্ষের কিছু বেশি জনের নথি পেশ করেছিল।

আরও পড়ুন: গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত Pulwama, শহিদ এক জওয়ান

২০১৯-এও প্রমাণাভাবে পাচারের ঘটনায় ৭৩ শতাংশ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। অভিযোগ, অতিমারির আবহে অর্থনৈতিক অসহায়তায় পাচার প্রবণতা আরও বেড়েছে। পাচারের ফাঁদ ছড়িয়েছে নেট-ভুবনেও। তবে আমেরিকার বিদেশ দফতরের রিপোর্টটিতে, পাচার মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের মধ্যে টিয়ার-২-তে রয়েছে ভারত-সহ উপমহাদেশের বেশির ভাগ দেশই। অর্থাৎ পাচার মোকাবিলায় যা করণীয়, তা করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা থাকলেও কিছুটা চেষ্টা করেছে ভারত।

করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র অবশ্য অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানোর উপরে জোর দিচ্ছে। দেশের ৭৩২টি জেলার মধ্যে ৩৩২টি জেলায় পাচার রোধে এই ব্যবস্থা আছে। তবে রিপোর্টে প্রকাশ, এর ৭৩% নাম-কা-ওয়াস্তে। এরপরেই আগামিদিনে আরও কঠোর নিয়মের জন্য এ বার সাধারণ মানুষের পরামর্শ চাইল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক (Ministry of Women and Child Development)।

বাদল অধিবেশনেই মানব পাচার (প্রতিরোধ, সেবা ও পুনর্বাসন) বিল ২০২১ পেশ করা হতে পারে। তার আগে মানব পাচার রোখার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাইল নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই বিলের প্রধান লক্ষ্য হল মানব পাচার প্রতিরোধ ও তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি। পাচার হয়ে যাওয়া মানুষদের অধিকার বজায় রেখে তাদের একটি সুরক্ষিত আইনি, আর্থিক ও সামাজিক পরিবেশ গঠন করে দেওয়া। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করাও এই বিলের লক্ষ্য।

আরও পড়ুন: ভারতের ভুল মানচিত্র শেয়ার করলেন উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী! শপথগ্রহণের আগেই জড়ালেন বিতর্কে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest