জাতীয় সড়ক থেকে রেলস্টেশন। ট্রেনের রুট, বিদ্যুতের লাইন থেকে শুরু করে গ্যাসের পাইপলাইন-পরিকাঠামো। এমন বহু সরকারি সম্পদ কর্পোরেট সংস্থাকে ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে আগামী চার বছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তুলতে চাইছে মোদী সরকার। সূত্রের খবর, এই তালিকায় থাকতে পারে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন, কলকাতা মেট্রো রেলের পরিকাঠামোও।
রেলের সঙ্গে ৩০ কিংবা ৫০ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে ওই ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে কর্পোরেট সংস্থা। সার্বিক ভাবেও তার অন্যান্য পরিষেবা, ট্রেনে ও স্টেশনে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন সূত্র থেকে আয়ের পথ খুঁজবে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ছুটে চলা টয় ট্রেনের ‘বিপণন স্বত্ব’ হাতে পাওয়া বেসরকারি সংস্থা। স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সংলগ্ন রেলের এলাকায় প্রয়োজন বুঝে বাণিজ্যিক পরিকাঠামো তৈরি করবে তারা। নিজেদের আয়ের দরজা খুলবে তা ভাড়া দিয়ে। আর এই সমস্ত কিছুর বিনিময়ে কেন্দ্রকে চুক্তি মাফিক টাকা দেবে সংস্থাটি। তবে এর সবটাই ব্রিটিশ জমানার হেরিটেজ টয় ট্রেনের নান্দনিকতা বজায় রেখে করা হবে বলেই মোদী সরকারের দাবি।
আরও পড়ুন: Afghanistan: কাবুল থেকে জোড়া বিমানে ফিরলেন ৮৭ ভারতীয়, রবিবারই ফেরার আশা আরও ৩০০ জনের
শুধু দার্জিলিঙের টয় ট্রেন নয়। অ্যাসেট মনিটাইজ়েশন প্রকল্পের আওতায় রেল, জাতীয় সড়ক, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহণ, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন থেকে শুরু করে ২৫টি বিমানবন্দর, কলকাতা-হলদিয়ার মতো জাহাজবন্দরের পরিকাঠামো পর্যন্ত ব্যবসায়িক ভাবে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া হবে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হাতে। এই তালিকায় রয়েছে এমনকি খেলার স্টেডিয়ামও। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই এই সব সরকারি সম্পদ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেসরকারি সংস্থাকে শুধু ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। মালিকানা থাকবে সরকারের হাতেই। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, আদতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রির রাস্তাই ধাপে ধাপে খুলে দিচ্ছে মোদী সরকার।
সরকারি সম্পদকে বেসরকারি ভাবে ব্যবহারের এই রাস্তা খুলে দিয়ে চার বছরে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তোলার পরিকল্পনা সোমবার ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: ‘দু’দিনের মধ্যে নিজামুদ্দিন মারকাজ বাসভবন খোলার ব্যবস্থা করুন’, পুলিশকে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের