গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের পদত্যাগ চেয়ে চাপ আরও বাড়াল তৃণমূল। মঙ্গলবার সকালে গোয়ার রাজ্যপাল শ্রীধরন পিল্লাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেতারা। দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের কে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে তাঁকে স্মারকলিপি তুলে দেন লুইজিনহো, সৌগত রায়রা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে গোয়ার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ করেন সে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। মালিকের আরও অভিযোগ, দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আনতেই তাঁকে গোয়া-ছাড়া করা হয়েছে। প্রাক্তন রাজ্যপালের এই অভিযোগকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল।
গতকাল ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এখ সাক্ষাতকারে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন সত্যপাল মালিক। সত্যপাল মালিকের কথায়, ‘গোয়া সরকারের সবকিছু সামলানোর ক্ষেত্রেই দুর্নীতি ছিল। সেই কারণেই আমাকে সেখান থেকে বিদায় করা হয়েছিল।’ তাঁর সাক্ষাত্কারে, মালিক প্রমোদ সাওয়ান্তের লকডাউন পরিচালনার বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, গোয়ায় একটি নতুন রাজভবন তৈরির বিষয়ে সাওয়ান্ত সরকারের ‘অপ্রয়োজনীয়’ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন।
এদিকে এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তবে দলের তরফে গোয়ার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সদানন্দ শেত বলেন, ‘সত্যপাল মালিক ভুল বক্তব্য পেশ করেছেন। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে আনব বিষয়টা।’
রাজ্যপাল শ্রীধরন পিল্লাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে এসে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি লুইজিনহো বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের ইস্তফা চেয়ে আমরা রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। আমাদের দাবি, দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত। রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।’’
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপি শাসিত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের ইস্তফা দাবি করেছে তৃণমূল। এ জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল তারা। এ বার চাপ বাড়াতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল তৃণমূল।