TMC leader Saayoni Ghosh arrested in Tripura

খুনের চেষ্টার অভিযোগে ত্রিপুরায় গ্রেফতার সায়নী; ‘বিজেপির নির্দেশে’ কাজ পুলিশের, দাবি কুণালের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর ত্রিপুরায় গ্রেফতার করা হল সায়নী ঘোষকে। খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির নির্দেশে অন্যায়ভাবে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার সকাল থেকেই আগরতলা পূর্ব থানায় ছিলেন সায়নী। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সহকর্মীর পাশে থাকতে থানাতেই রয়েছেন সুস্মিতা দেব-সহ প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও কুণাল ঘোষ। সায়নীকে না ছাড়া পর্যন্ত তাঁরা থানাতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। বিজেপি-র বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। সুস্মিতার দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

উল্লেখ্য, ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষকে নিয়ে তৃণমূল নেতারা আগরতলা মহিলা থানায় ঢোকার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের থানায় ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সায়নীর গ্রেফতার নিয়ে টুইটে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করল সায়নী ঘোষকে। ধিক্কার ত্রিপুরা সরকার। থানায় হামলাকারীরা গ্রেফতার হল না। গ্রেফতার হল সায়নী।’

কুণাল আরও বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং সাজানো। রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামিকাল আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আছে। তা বানচাল করতেই সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির পরও আদালতে পেশ করা হচ্ছে না। যাতে সায়নী জামিন পেতে পারেন।

কিন্তু কী কারণে সায়নীকে গ্রেফতার করা হল? ঘাসফুল শিবিরের দাবি, শনিবার রাতে প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী। গাড়িতে চালকের পাশের আসনেই বসেছিলেন তিনি। পিছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহা। তারইমধ্যে যানজটে আটকে পড়ে গাড়ি। আশেপাশের লোকেরা সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন এবং ‘‌খেলা হবে’‌ স্লোগান দিতে থাকেন। পালটা তৃণমূল নেতা–নেত্রীরাও পালটা স্লোগান দেন। পুলিশের দাবি, তখনই নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest