সামনেই পুরসভার নির্বাচন ত্রিপুরায়। বাংলাতেও পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। একইসঙ্গে ত্রিপুরায় বেড়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ বলে অভিযোগ। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি থেকে হামলা নিয়ে সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমনকী একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রী–সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ত্রিপুরায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ ত্রিপুরার সোনামুড়া থানায় ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
সোমবার ত্রিপুরার সোনামুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সোহেল রানা নামের এক বিজেপি নেতা। কলকাতা পুরপ্রশাসক তথা মন্ত্রী ফিরহাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগপত্র উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০ নভেম্বর একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। রীতিমতো মানহানিকর মন্তব্য করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ‘তুই’ তুকারি, কুয়োর ব্যাঙ, ছোট-ছুটকা, জুমলাবাজ, দালাল ইত্যাদি শব্দের ব্যবহারও করেছেন তিনি। যা এককথায় অপমানজনক। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগকারীর কথায়, ফিরহাদ ও জনসভায় বলেছিলেন, “তুই এখানে আমায় একটা মারলে ওখানে পাঁচ মিনিটে পাঁচটা মারব।” রাজ্যের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তাঁর বক্তব্যের জন্য রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হানাহানি চলছে। উত্তপ্ত হয়েছে পরিবেশ। সেই কারণেই দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।
তৃণমূলের হয়ে পুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম৷ শনিবার আগরতলার দশ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সভায় তিনি উপস্থিত থাকার সময়ই বিজেপি-র বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে৷ ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়দের ঘেরাও করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের৷
এই মুহূর্তে বিজেপি- তৃণমূল সংঘাতে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিবেশ রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে৷ রবিবারই যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ৷ যে ঘটনার জের পৌঁছয় দিল্লি পর্যন্ত৷ সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য করে ত্রিপুরার থানা চত্বরেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷ সোমবার আদালত থেকে জামিন পান সায়নী৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফিরহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল ত্রিপুরায়৷