দিল্লির রাজঘাটে অবস্থানরত তৃণমূল নেতাদের এবং ১০০ দিনের শ্রমিকদের কার্যত তাড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই আটকে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই মাঝপথে বেরিয়ে যান তিনি। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। এর মধ্যেই আবার অভিযোগ, মোবাইল ফোন খোয়া গিয়েছে দলের দুই সাংসদের।
রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন এবং লোকসভার সাংসদ শতাব্দী রায়ে ফোন খোয়া গিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শান্তনু সেনের স্যামসং গ্যালাক্সি সিরিজের মোবাইল এবং শতাব্দী রায়ের আইফোন সিরিজের ফোন ছিল। এদিকে, জুতো খোয়া গেল সুজিত বসুর। বাংলার মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘জুতো খুলে ধরনাস্থলে ঢুকেছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে দেখি, জুতো যেখানে খুলেছি সেখানে নেই। কোথাও জুতো খুঁজে পাইনি। ভিড়ের মধ্যে বুট দিয়ে আমার পায়ে চাপা দেওয়া হয়। জুতোটা মিসিং ফলে খালি পায়েই বেরিয়ে যেতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: Ujjain: রক্তে ভেজা অর্ধনগ্ন শরীর, আড়াই ঘণ্টা বাড়ি বাড়ি ঘুরেও সাহায্য পেল না ১২ বছরের ধর্ষিতা
দিল্লির পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘মোদী-শাহের পুলিশের আচরণ সকলেই দেখলেন। এরা বর্বর পুলিশ। বোঝাই যাচ্ছে গুজরাটে কী ভাবে মানুষ খুন করা হতো। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। আমাদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ পুলিশের সঙ্গে তাঁর একপ্রস্ত ধস্তাধস্তিও বেঁধে যায়।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে এদিন রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নার শেষলগ্নে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক শেষের আগেই দিল্লি পুলিশের হুইসল বাজতে শুরু করে। অভিষেকের অভিযোগ, ‘মৌখিকভাবে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার পরও প্রতি ১০ মিনিট অন্তর পুলিশ এসেছে বাধা দিয়েছে। আমাদের আক্রমণ করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন পুলিশ মাইকিং করে বলে, এখান থেকে চলে যেতে। আসলে নরেন্দ্র মোদী নামেই আছেন। সরকার চালাচ্ছেন অমিত শাহ।’
মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে যন্তর-মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের। সেখানে সামিল হবেন বাংলার ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা। তাঁদের গায়ে যদি কোনওরকম আঁচড় আসে তবে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Gandhi Jayanti: জার্মান গায়িকার কণ্ঠে বাপুর প্রিয় ভজন, ভিডিও শেয়ার করলেন মোদী