সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং জওহর সরকার আজ রাজ্যসভায় তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন। তাতে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও।
বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সর্বভারতীয় সংসবাদ চ্যানেল এনডিটিভি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর নতুন বই জাস্টিট ফর দ্যা জজ- নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেই সময়ই তিনি বেশ কিছু মন্তব্যও করেন। যা সংসদভবনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে বলেও দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষাধিকারভঙ্গের নোটিশ বলেও দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়া বিশেষাধিকার নোটিশে সাক্ষাৎকারের বিতর্কিত অংশগুলিও তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রঞ্জন গগৈয়ের এজাতীয় মন্তব্য সংসদ ভবনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। তাই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা দখলে ‘প্রকৃত হিন্দু’ হতে মরিয়া রাহুল গান্ধী, ‘সেকুলার’ কংগ্রেসকে বিঁধলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
বেসরকারি সংবাদ চ্যালেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছিলেন, ‘আমার ইচ্ছে হলে রাজ্যসভায় যাই। আমি মনোনিত সদস্য। কোনও দলের সদস্য নই।’ এর পর গগৈ বলেন, ‘রাজ্যসভার ম্যাজিকটা কোথায়? আমি যদি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হতাম প্রচুর টাকা বেতন ছাড়াও ভাতা পেতাম। ভালোই থাকতাম। কিন্তু আমি রাজ্যসভা থেকে একটি পয়সাও নিচ্ছি না।’ গগৈয়ের এই মন্তব্যেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যসভা সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে সংসদকে অসম্মানিত করেছেন গগৈ। সে কারণেই স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রঞ্জন গগৈয়ের মানহানিকর মন্তব্যের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে একমত হয়েছে কংগ্রেস–সহ অন্যান্যরাও। এই ইস্যুতে বিরোধীদের বৈঠকও হয়েছে। এমনকী বিষয়টি নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তাঁরা বলেও সূত্রের খবর। তবে রঞ্জন গগৈয়ের বইয়ে বিতর্ক তৈরি হয় সেটার ক্যাপশন নিয়ে। কারণ সেখানে লেখা ছিল, ‘অযোধ্যা রায়ের পরে আনন্দ’। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ -এর রাজ্যসভায় অনুপস্থিতি কম রয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত সরগম হয় সংসদ। সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী ২০২০ সালের মার্চ মাচ থেকে তাঁর উপস্থিতি মাত্র ১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Viral Video: ভোট না দেওয়ায় দুই দলিত ভোটারকে থুথু চাটাল পরাজিত প্রার্থী!