ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পেগাসাস (Pegasus) বিতর্ক। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর (Ashwini Vaishnaw) হাত থেকে বক্তৃতার কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে দেখা গেল তৃণমূল (TMC) সাংসদ শান্তনু সেনকে (Shantanu Sen)। পরে তিনি সেটি ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনের দিকে ছুঁড়ে দেন।
আরও পড়ুন : ‘ক্যাডবেরির চকোলেটে কি গোমাংসের ব্যবহার!’, ভাইরাল ট্যুইট, জানুন কী বলছে সংস্থা?
সংসদের বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও পেগাসাস কাণ্ড অব্যাহত। বৃহস্পতিবারও বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে একাধিক বার মুলতুবি রইল দুই কক্ষের অধিবেশন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আগামিকাল পর্যন্ত রাজ্যসভা স্থগিত হয়ে যায়। পরে রাজ্যসভার কক্ষের বাইরে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে প্রশ্ন করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিজেপির সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘মনে হচ্ছে মূলত তৃণমূল সাংসদ-সহ বিরোধী সদস্যরা নিজেদের জায়গা থেকে উঠে পড়েন। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নেন এবং ছিঁড়ে দেন। এটা একদম বরদাস্ত করা যায় না। উনি বিবৃতি দিচ্ছিলেন। তারপর আপনাদের প্রশ্ন করার অধিকার আছে।’
গত রবিবার ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য ওয়ার’-সহ ১৭ টি সংবাদমাধ্যমের একটি গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘পেগাসাস’ নামে পরিচিত একটি ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী হাজার-হাজার মানুষকে নিশানা করা হয়েছিল। ‘দ্য ওয়ার’-এর প্রতিবেদনে সোমবার দাবি করা হয়েছে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। সম্ভাব্য তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
যদিও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার ওই প্রতিবেদনগুলিকে ‘মাছ ধরার অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। সঙ্গে জানিয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও মজবুত ভিত্তি বা সত্যতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’ পরে পেগাসাস ‘হ্যাক’-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন দুই শীর্ষ মন্ত্রী। পুরো বিতর্কের সঙ্গে কেন্দ্র বা বিজেপির নাম জড়ানোর জন্য ছিঁটেফোটা প্রমাণও নেই বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
আরও পড়ুন : আপনার কি ঘনঘন মন খারাপ হয়? জানেন কি এটা হতে পারে ভিটামিন ডি-এর অভাবে?