বারামুলায় রাতভর নিরাপত্তারক্ষী-সেনা সংঘর্ষ, হত লস্করের শীর্ষ জঙ্গি-সহ ৩

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাতভর নিরাপত্তারক্ষী-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হল লস্কর-ই তইবার এক শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি-সহ ৩ জন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহত জঙ্গি মুদাস্‌সির পণ্ডিতকে দীর্ঘ দিন খোঁজা হচ্ছিল। সোমবার কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বলেন, ‘‘উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার সোপোর এলাকাতে রাতভর সংঘর্ষ হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে নামে নিরাপত্তারক্ষীরা। এতেই লস্করের এক জঙ্গি-সহ ৩ জন খতম হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই রাজ্যে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, নবান্নে ঘোষণা মমতার

১২ জুন উত্তর কাশ্মীরে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনার তদন্তেরই অংশ ছিল রবিবার রাতের ওই অভিযান। বিজয়ের বক্তব্য, ‘‘মুদাসিরের মৃত্যু স্থানীয়দের জন্য বড় স্বস্তি।’’ কাশ্মীর পুলিশ টুইটে লিখেছে, ‘লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ নেতা সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। ৩ জন পুলিশ কর্মী, ২ জন কাউন্সিলর ও ২ জন নাগরিকের হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল সে।’

রবিবার গভীর রাতে বারমুল্লা জেলার সোপোরে এনকাউন্টার শুরু হয়। ওই এলাকায় এক পাকিস্তানি জঙ্গি-সহ মোট তিন জেহাদি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর মিলেছিল। সূত্রের খবরের উপর ভিত্তি করে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এলাকা ঘিরে ফেলে তাঁরা। তিনজনকে আত্মসমর্পনের নির্দেশও দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর চলে গুলির লড়াই। এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও খবর। সোমবার সকালে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিন সন্ত্রাসবাদির দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি জেহাদি। অন্য আরেক জন লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার মুদাসির পন্ডিত বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।

কাশ্মীর পুলিশ জানাচ্ছে, জঙ্গি সংগঠন লস্করের অন্যতম মাথা ছিল এই ব্যক্তি। সাম্প্রতিককালে কাশ্মী সংঘটিত একাধিক অপরাধে নাম জড়িয়েছিল তার। তিন পুলিশ আধিকারিক, ২ কাউন্সিলর এবং দুজন আমজনতাকে হত্যা করেছিল সে। বহুদিন ধরেই তার খোঁজ চালাচ্ছিল যৌথবাহিনী। শেষমেশ রবিবার রাতের এনকাউন্টারে খতম হয় কাশ্মীরের ত্রাস মুদাসির পন্ডিত। এ প্রসঙ্গে কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “সোপোর এলাকায় শান্তি ফিরবে। এই এলাকার যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপে নিয়োগ করত মুদাসির। তার মৃত্যু যৌথবাহিনীর বড় সাফল্য।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কাশ্মীরের নেতাদের সর্বদলীয় বৈঠক। এই আলোচনা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। তার আগে যৌথবাহিনীর এই অভিযান নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও সোপোরে চিরুনি তল্লাশি চলছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে, ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে NHRC

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest