ঝাড়খণ্ডে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন মাওবাদী নেতা প্রশান্ত বসু ওরফে কিষাণদা এবং তাঁর স্ত্রী শিলা মারান্ডি। লালগড় আন্দোলনে যে ইস্টার্ন রিজিওনাল ব্যুরোর বড় ভুমিকা ছিল সেই ব্যুরোর সাম্প্রতিক নেতা ছিলেন কিষানদা।
সিপিআই মাওবাদীদের পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের সদস্য প্রশান্ত বসু পার্টির বিলয়ের আগে মাওইস্ট কমিউনিস্ট সেন্টার অব ইন্ডিয়া (এমসিসিআই) এর প্রধান ছিলেন। ২০০৪ সালে এমসিসিআই-এর সঙ্গে মিশে যায় সিপিআই-এমএল (জনযুদ্ধ)। তৈরি হয় ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। প্রশান্ত মাওবাদীদের তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মাওবাদীদের ইস্টার্ন রিজিওনাল ব্যুরোর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ৭৫ বছরের প্রশান্ত বসু শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে শেষ খবর পাওয়া গিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের সারান্ডার জঙ্গলে তাঁর খোঁজে একাধিক বার তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশ। কিন্তু প্রতি বারই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন এই বর্ষীয়ান মাওবাদী নেতা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শুক্রবার ধরা পড়ে গেলেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে।
তাঁর স্ত্রী শিলা মারান্ডি নিজে কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী। ১৫ বছর আগে শিলাও গ্রেফতার হন। সেই সময়ে তিনি ছয় বছর জেলে ছিলেন। অপর নেত্রী অনুরাধার মৃত্যুর পরে এই মুহূর্তে একমাত্র মহিলা নেত্রী শিলা মারান্ডি।
৭৫ বছর বয়সি কিষাণদার গ্রেফতারি এই মুহূর্তে মাওবাদী আন্দোলন দমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি মাওবাদী নেতৃত্বে বদল ঘটার পরে তাদের ঝাড়খণ্ড অঞ্চলে কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই খবর। এরপরে কিষাণদার গ্রেফতারির মাধ্যমে মাওবাদীদের বর্তমান অবস্থা, কে কথায় কাজ করছে এবং আগামিদিনে তাদের কী পরিকল্পনা সেই বিষয়ে বিশেষ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিস। গ্রেফতার করার পর তাদের ঝাড়খণ্ড পুলিসের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।