দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল বার করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তাল হয়ে উঠল উত্তর ত্রিপুরা। যার জন্য ধর্মনগর সাবডিভিশনে ১৪৪ ধারা জারি করতে হল ত্রিপুরা সরকারকে। ঘটনার সূত্রপাত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরেই। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পানিসাগর চামতিলা এলাকার মিছিলে অংশ নেওয়া কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক স্থানীয় একটি মসজিদে চড়াও হয়। একাধিক দোকানে আগুন লাগানোর অভিযোগও উঠেছে।
পানি সাগরের এসডিপিও বলেন ভিএইচপির প্রায় তিন হাজার ৫০০ জন সমর্থক মিছিল নিয়ে এই পথে যায়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন পরিষদের রাজ্য সংগঠন মন্ত্রী পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল। তারাই তিনটি বাড়ি, তিনটি দোকান ও একটি মসজিদে ভাঙচুর চালায়। আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে দুটি বাড়ি। রোয়াবাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে স্থানীয় থানায়। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য,ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছিল সব মসজিদে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে মসজিদ ভাঙচুর ঘটনার পরই তা করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেল পুলিশের সামনেই মসজিদ ও সংখ্যালঘুদের সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
Visuals of grocery and ration shops burnt in Rowa yesterday. They were owned by Nizamuddin and Amir Hussain. This happened at around 3:30-4pm yesterday after the rally turned violent. As per Police the situation is under control. #TripuraMuslimsUnderAttack #Tripura pic.twitter.com/qNqqcllLVt
— Samriddhi K Sakunia (@Samriddhi0809) October 27, 2021
ত্রিপুরা পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, চামতিলা এলাকার ঘটনায় ইতিমধ্যেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি এক আবেদনে বলা হয়েছে, কোন ভুয়ো বার্তায় যেন কেউ বিশ্বাস না করেন, পাশাপাশি শান্তির আবেদনও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। প্রশাসনের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ত্রিপুরায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে।