Site icon The News Nest

হিংসা রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বিপ্লব দেবের সরকার, দেড় ঘন্টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

supreme court web

ত্রিপুরায় পুরভোটের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হল। বিপ্লব দেবের সরকার কী রিপোর্ট দেয় তার উপরই নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি চলছে। পৌনে একটার পর আবারও শুনানি শুরু হবে। তৃণমূলের দায়ের করা আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করে।

ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানিই মঙ্গলবার হল দেশের শীর্ষ আদালতে। যদিও ত্রিপুরা সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। পৌনে ৪টের সময় ফের হবে এই মামলার শুনানি।

ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনের সময়সূচি পরিবর্তনের বিবেচনা করার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতে মঙ্গলবার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের আইনজীবী। আদালতে তৃণমূলের আইনজীবী বলেছেন, ‘‘রাজনৈতির কর্মী এবং তাঁদের বাড়ির মহিলা-শিশুদের বাড়ি থেকে বের করে এনে মারা হচ্ছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে কী ভাবে মানুষ ভোট দিতে বাড়ি থেকে বেরবেন? আকাশ ভেঙে পড়বে নির্বাচনের দিন পরিবর্তন হলে। ১৭টি হিংসার ঘটনা। কোনও গ্রেফতারি নেই।’’

বিপ্লব দেবের রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তি নিয়ে এর আগে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পুরভোট অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে করতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দল যেন ভোট প্রচারে নেমে বাধার মুখে না পড়ে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যেন প্রচার পর্ব চলে।

কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই আগরতলার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে হিংসা বাড়িয়েছে বিপ্লব দেব। তৃণমূলের একাধিক নেতা বিগত কয়েকদিনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

এই সব নিয়েই তৃণমূলের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করেই তাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছে বিজেপি। এবং বিপ্লব দেবের প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোমবার দিল্লি উ়়ড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বলেছিলেন, ‘‘আমরা সবসময় আদালতের নির্দেশকে সম্মান করি। কিন্তু ত্রিপুরায় দেখছি সে নির্দেশও মানা হচ্ছে না। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত তা মানছেন না।’’

Exit mobile version