মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) সঙ্গে রাখি সাওয়ান্তের তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিত (Hriday Narayan Dixit)। বিপাকে পড়ে আবার টুইট করে সাফাইও দেন যোগীরাজ্যের প্রবীণ বিজেপি নেতা।
উন্নাও জেলার বঙ্গারমাও বিধানসভা এলাকায় ‘প্রবুদ্ধ বর্গ সম্মেলনে’ বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিত। বিজেপি নেতার মতে, পড়াশোনা করলেই কেউ মহান হয়ে যায় না। মহান হতে গেলে কিছু গুণ থাকা আবশ্যক। এই প্রসঙ্গেই তিনি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে রাখি সাওয়ান্তের তুলনা টানেন। জানান, গান্ধীজি নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তেন। কম পোশাক পরতেন। শুধু ধুতি পরে থাকতেন। গোটা দেশ তাঁকে বাপু বলে ডাকে। কথার পরিপ্রেক্ষিতে আচমকা হৃদয় নারায়ণ বলে বসেন, “যদি কাপড় খুলে ফেললেই কেউ মহান হয়ে যেতে পারে, তাহলে রাখি সাওয়ান্ত (Rakhi Sawant) মহাত্মা গান্ধীর চেয়েও বড় হয়ে যেতেন।”
सोशल मीडिया पर कुछ मित्र मेरे भाषण के एक वीडियो अंश को अन्यथा अर्थों के संकेत के साथ प्रसारित कर रहे हैं। वास्तव में यह उन्नाव के प्रबुद्ध सम्मेलन में मेरे भाषण का अंश है। जिसमें सम्मेलन संचालक ने मेरा परिचय देते हुए मुझे प्रबुद्ध लेखक बताया था।
— Hriday Narayan Dixit (@Speaker_UPLA) September 19, 2021
হৃদয়ের এই মন্তব্যের ভিডিয়ো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিরোধীরা প্রবীণ নেতার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের শাসকদল বিজেপিকেও একহাত নেন। বিধানসভার স্পিকারের মুখ থেকে এমন কথা আশা করা যায় না বলেও মন্তব্য করা হয়।এর পরেই নিজের অবস্থান বোঝাতে টুইট করেন স্পিকার।
সোশ্যাল মিডিয়ার তীব্র সমালোচনার জেরে নিজের বক্তব্যের সাফাই দিয়ে টুইট করেন হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিত। টুইটারে তিনি লেখেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বক্তব্যের কিছু অংশ বিকৃত করে প্রচার করছে। আসলে এটা উন্নাওয়ের প্রবুদ্ধ সম্মেলনের দীর্ঘ ভাষণের একটি অংশ মাত্র। যেখানে সঞ্চালক আমার পরিচয় দিতে গিয়ে আমাকে প্রসিদ্ধ লেখক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এই প্রেক্ষিতেই বলে চেয়েছিলেন কয়েকটি বই লিখলেই কেউ প্রসিদ্ধ হয়ে যায় না।” এরপরই আবার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভার স্পিকার অনুরোধ করেন, তাঁর কথার ভুলভাবে যেন ব্যাখ্যা করা না হয়।