Uttarakhand rain toll rises, landslides cut off Nainital

Uttarakhand Rain: ধসের জেরে বিচ্ছিন্ন নৈনিতাল; মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২, উদ্ধার ১০ বাঙালি পর্যটক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একটানা বৃষ্টিতে ধ্বংসলীলা জারি দেবভূমিতে (Uttarakhand)। দুদিনেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪২-এ। মঙ্গলবারই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে একাধিক জায়গায় ভূমিধস (Landslide) শুরু হয়েছে। প্রবল জলের স্রোতেও বাড়ি সহ ভেসে গিয়েছেন বহু মানুষ। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও অবধি মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টিতে সোমবারেই চার ধাম যাত্রা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টিতে বিপদ আরও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নৈনিতালে বৃষ্টি হয়েছে ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি। যা রেকর্ড গড়েছে। নৈনি হ্রদ উপচে আজ ভেসে গিয়েছে নৈনিতাল, আলমোড়া, রানিখেতের মতো সাজানো শৈলশহরগুলি। কালাধুঙ্গি, হলদোয়ানি আর ভাওয়ালি— নৈনিতাল পৌঁছনোর তিনটে রাস্তাই ধস নেমে বন্ধ। ফলে বাকি রাজ্যের সঙ্গে নৈনিতালের সমস্ত যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন। ভেসে গিয়েছে বিখ্যাত মল রোড আর নৈনি দেবীর মন্দির। চম্পাবত জেলায় চালথি নদীর উপরে নির্মীয়মাণ একটি সেতু ভেঙে ভেসে গিয়েছে স্রোতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃষ্টি-বিপর্যয়ের নানা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে। তার কোনওটায় দেখা যাচ্ছে, নৈনিতালের জলমগ্ন বিলাসবহুল হোটেলের ছাদে ভিড় করেছেন পর্যটকেরা। কোনওটায় দেখা গিয়েছে জলমগ্ন গাড়ি আর বাড়ির সারি। গওলা নদীতে আটকে পড়া একটি হাতির ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেছেন বন দফতরের কর্মীরা।

শুধু সড়কপথ নয় প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথও। কাঠগোদাম থেকে দিল্লি যাওয়ার রাস্তায় হলদোয়ানির কাছে বেশ খানিকটা রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গওলা নদীর উপচে পড়া জলে রেললাইনের তলায় মাটি ধুয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আপাতত ওই এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ধস ও জলের কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেলে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। দুর্গতদের উদ্ধারে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা ও তাদের তিনটি হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে।

মঙ্গলবার উত্তরখণ্ডের কালচানাথের কাছে আটকে পড়া ১০ জন বাঙালি পর্যটককে উদ্ধার করে গোপেশ্বরে নামিয়ে আনা হয়। কেদারনাথের ডিএফও অমিত কানোয়ার বলেছেন, ‘‘এঁরা রুদ্রনাথ থেকে ফিরছিলেন। মাঝে বৃষ্টির জন্য কালচানাথে আটকে পড়েন। আমাদের কাছে গত কাল সন্ধ্যায় সাহায্য চেয়ে ফোন আসে। তার ভিত্তিতে আজ উদ্ধারকার্য চালানো হয়।’’ কানোয়ার জানান, কালচানাথে আটকে পড়া পর্যটকেরা হলেন তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়, রানি চট্টোপাধ্যায়, রূপ সনাতন গোস্বামী, টিঙ্কু মিশ্র, সুযাত্রা গোস্বামী, রামপদ জোতদার, রঞ্জিতা জোতদার, স্মৃতি জোতদার। তাঁরা বারাসতের বাসিন্দা। অন্য দিকে চুঁচুড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও দুই প্রতিবেশী আটকে রয়েছেন কেদারনাথে। যোশীমঠে আটকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগমের কর্মী কিশোর মিত্রের পুত্র, পুত্রবধূ ও তাঁদের দুই সন্তান। তাঁরা উল্টোডাঙার বাসিন্দা।

রাজ্যের করুণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। মঙ্গলবার আকাশপথে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। পাশাপাশি গত দু’দিনে প্রাকৃতির দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে, এমন নিহতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। আর বুধবার বিকেলেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরাখণ্ড যাচ্ছেন অমিত শাহ। আকাশপথে জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন তিনি। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পর্যালোচনা বৈঠকও করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest