আজ জম্মু-কাশ্মীরের ১৪ জন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লাহ এবং গোলাম নবী আজাদের মতো নেতারা এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি উপস্থিত থাকছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও।
আরও পড়ুন: Nandigram Poll Result Case: এজলাস বদলের আবেদনের শুনানি শেষ, আজ স্থগিত রায়দান
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পরে জম্মু-কাশ্মীর এই নিয়ে এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছে কেন্দ্র। তবে কী নিয়ে এই বৈঠক বা বৈঠকের এজেন্ডা কী? তা জানানো হয়নি। ফলে বৈঠক ঘিরে জল্পনা অব্যহত। এমনকি পাকিস্তানও যেন এই বৈঠক ঘিরে কিছুটা চিন্তিত।
‘মিটিং টা কি জম্মু ও কাশ্মীরকে নিয়ে করছেন, শুধু জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে?’ কলকাতায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রেস কন্ফারেন্সে কাশ্মীর ইস্যুতে মোদীর সর্বদলীয় বৈঠকের প্রসঙ্গ উঠতেই মমতা এই প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিককে। এপরই দিল্লির বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে কাশ্মীর ইস্যুতে পর পর তোপ দাগেন মমতা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন যে কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদল বৈঠক নিয়ে তাঁর কোনও ধারনা নেই। এরপরই মমতা বলেন, যে বিষয়ে আমি জানি না , সেবিষয়ে কথা বলব না। তাঁর সাফ প্রশ্ন, জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্টেটহুড’ ছিনিয়ে নেওয়ার কী কারণ ছিল?মমতা দাবি, ২০১৯ সালে মোদী সরকার কাশ্মীর ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে দেশের কোন উপকার হয়নি, তারসঙ্গে কাশ্মীরে কোনও পর্যটকরাও যেতে পারেননি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ভ্যাকসিন ইস্যুতে যেমন দেশ বদনামের ভাগী হয়েছে মোদীর পদক্ষেপের জেরে, তেমনই কাশ্মীর ইস্যুতে মোদীর পদক্ষেপের জেরে দেশের বদনাম হয়েছে। ঘটনাকে তিনি একনায়কতন্ত্রের তকমা দেন।
Delhi: "For now, we will not talk about this. People of J&K are in distress since the August 5, 2019 decision of degrading and bifurcating the state," says Jammu and Kashmir Congress president, Ghulam Ahmad Mir on being asked if he is against the restoration of Article 370 pic.twitter.com/DKv0hRrUXd
— ANI (@ANI) June 24, 2021
আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে ডিম-পাউরুটি বিক্রি করছেন সোনু সুদ! ভাইরাল ভিডিও