শিশুরাই আগামী দিনের আলো, শিশুরাই (Children) দেশের ভবিষ্যৎ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশু দিবস (Children’s Day) পালিত হয়, বিভিন্ন সময়। ১ জুন, পালিত হয় আন্তর্জাতিক শিশু দিবস। তবে প্রতি বছর ভারতে ‘শিশু দিবস’ পালিত হয় ১৪ নভেম্বর। এই শিশু দিবসের পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। আসুন জানা যাক…
শিশু দিবসের ইতিহাস (Children’s Day History)
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু (Pandit Jawaharlal Nehru) কাছে পরিচিত ছিলেন ‘চাচা নেহেরু’ (Chacha Nehru) নামেই। তিনি ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাটে খুব ভালোবাসতেন। আগে ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। সেই মতো সেদিনই ভারতে পালিত হত শিশু দিবস।
১৯৬৪ সালের ২৭ মে জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর, তাঁর শিশুদের প্রতি অগাধ স্নেহ ও ভালোবাসার জন্য, সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, ১৪ নভেম্বর, তাঁর জন্মদিনে ভারতে পালিত হবে শিশু দিবস।
শিশু দিবসের গুরুত্ব (Children’s Day Importance)
এই বিশেষ দিন, শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা মূল উদ্দেশ্য থাকে। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে, শিশুদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুরা যাতে সঠিক শিক্ষা পায়, তাঁদের যাতে সঠিক পুষ্টি হয়, এই সমস্ত দিকই এদিন বিবেচনা করা হয়।
শিশু দিবস উদযাপন (Children’s Day Celebrations)
স্কুল ও শিক্ষাক্ষেত্রগুলিতে পড়াশোনার পরিবর্তে বিশেষ অনুষ্ঠান, ক্যুইজ শো ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। শিশুদের জন্য থাকে উপহার, খাওয়া -দাওয়ার আয়োজন। বর্তমানে বিভিন্ন শপিং মল, বিনোদন পার্ক রেস্তোরাঁতে থাকে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন। এমনকী কিডস আইটেম কেনাকাটায় থাকে বিশেষ ছাড়। সেই সঙ্গে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়, চাচা নেহেরুকে।
দেখে নিন নেহরুর অসামান্য বাণী ও উক্তিগুলি:-
- শিশুরা বাগানের কুঁড়ির মতো এবং তাদের যত্ন সহকারে এবং ভালোবাসার সাথে লালনপালন করা উচিত, কারণ তারা জাতির ভবিষ্যত এবং আগামী দিনের নাগরিক। – পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু
- আজকের ছেলেমেয়েরাই আগামী দিনের ভারত তৈরি করবে। আমরা যেভাবে তাদের বড় করব তা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। – পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু
- আমার কাছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সময় নাও থাকতে পারে, কিন্তু শিশুদের জন্য আমার যথেষ্ট সময় আছে। – পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু
- শুধুমাত্র সঠিক শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজের একটি উন্নত ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। – পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু