ওয়েব ডেস্ক: খুব সাবধানে একটু একটু করে জীবনে ছন্দ ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ১৯ মে থেকেই কয়েকটি বিশেষ ঘরোয়া উড়ান চালাবে এয়ার ইন্ডিয়া। দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা আটকে পড়েছেন, তাঁদের ঘরে ফেরাতেই এই বিমানগুলি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৯ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে এই বিমানগুলি ওড়ানো হবে।
এই বিমান সফরের খরচ যাত্রীদের থেকেই নেওয়া হবে। টিকিং বুকিং এখনও শুরু হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এই বিশেষ বিমানগুলির বেশিরভাগই ছাড়বে দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরু থেকে। ১৯ মে চেন্নাই থেকে একটি বিমান কোচি উড়ে যাবে। দিল্লি থেকে ১৭৩টি, মুম্বই থেকে ৪০টি, হায়দরাবাদ থেকে ২৫টি এবং বেঙ্গালুরু থেকে ১২টি বিমান ছাড়বে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় প্রসব, অসুস্থ শরীরে সদ্যোজাতকে নিয়ে ১৫০ কিমি হাঁটলেন পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী
দিল্লি থেকে ওড়া বিমানগুলি যাবে জয়পুর, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, অমৃতসর, কোচি, অহমদাবাদ, গয়া, লখনউ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে। মুম্বই থেকে বেঙ্গলুরু, বিশাখাপত্তনম, কোচি, অহমদাবাদের মতো অনেক শহরেই বিশেষ বিমান যাবে। বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের থেকে সবুজ সংকেতের জন্য এখন অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে ওই বিমান কবে কলকাতায় অবতরণ করবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
লকডাউন শিথিল হচ্ছে। হয়ত কিছুদিনের মধ্যে সব স্বাভাবিকই হয়ে যাবে। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের দীর্ঘশ্বাস ও হাহুতাশ ভেসে বেড়াবে বাতাসে। কেবল বাড়ি ফেরার চেষ্টা করতে গিয়ে গোটা দেশে বহু পরিযায়ী শ্রমিকের দুৰ্ভাগ্যজনক মৃত্যু হল। যা মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টকর।
অনেকে বলছেন, শ্রমিকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেবার পর লকডাউন করা যেত। সবঠিক আছে বলে কেন্দ্র যখন আশ্বাস দিচ্ছিল তখনই এই ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধের জন্য নানা টালবাহানা হল। অথচ শ্রমিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হল যাতে মনে হল পেটের দায়ে কাজ করতে গিয়ে মানুষগুলো অপরাধ করেছে।
আরও পড়ুন: মোদীর প্যাকেজে চনমনে শেয়ারবাজার! ১১০০ পয়েন্ট চড়ল সেনসেক্স