এ বার থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন মহিলারাও। বুধবার এই রায় ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত। জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমিকে ভর্তির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রবেশিকা পরীক্ষায় মহিলাদের পরীক্ষায় বসার দরজা খুলে দিয়েছে আদালত। এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় সেনাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। লিঙ্গ বৈষম্যকেই আরও সুযোগ করে দিচ্ছে সেনা নীতি,অন্তর্বর্তী রায়ে এমনটাই জানিয়েছেন শীর্ষ আদালত।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা। ওই পরীক্ষায় মহিলাদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন দিল্লির আইনজীবী কুশ কালরা। তিনি জানিয়েছিলেন, শুধু মাত্র লিঙ্গের কারণে মহিলাদের পরীক্ষায় বসতে না-দেওয়ার সিদ্ধান্তে আদতে লঙ্ঘিত হয়েছে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ১৫, ১৬ এবং ১৯।
আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: আফগানিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও শিখদের আশ্রয় দেবে ভারত, ঘোষণা বিদেশমন্ত্রকের
বুধবারের শুনানিতে আদালতে কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় সেনায় মহিলাদের সমান সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনও রকম মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয় না।’’ তারপর আদালত বলে মহিলাদের পরীক্ষআয় পর্যন্ত বসতে না দেওয়া লিঙ্গ বৈষম্যের উদাহরণ। বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয়কিষাণ কৌলের ডিভিশন বেঞঅচে একমি মামলার শুনানি চলছে যাতে মেয়েদেরকেও পুণের এনডিএ এবং কেরলের আইএনএ-র পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
মহিলা সেনা আধিকারিককে স্থায়ী কমিশনের সুবিধা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৫ মার্চ যোগ্য প্রার্থীদের এই কমিশন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই রায় বাস্তবায়ন করতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনীতে মহিলা ও পুরুষের সমানাধিকার রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, মহিলাদের প্রতি মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজন। এই সংক্রান্ত মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট আগেই মহিলা সেনা আধিকারিকদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র। তবে সেখানেও ধাক্কা খেতে হয়েছিল তাদের।
আরও পড়ুন: নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’-তে শ্রদ্ধা Congress ও BJP’র! নিন্দায় সরব TMC