গরু পাচারকারী সন্দেহে দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গুলি করে খুন করল স্বঘোষিত গোরক্ষক দল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে। ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণের গাড়িকে ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ধাওয়া করে এই হত্যাকাণ্ড চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম আরিয়ান মিশ্র। তার গাড়ি ধাওয়া করে খুনে গো-রক্ষরা গুলি চালায়। গলায় গুলিবিদ্ধ আরিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে আগ্র-দিল্লি জাতীয় সড়কে।
গত সপ্তাহেই হরিয়ানায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক সাবিরকে গো-রক্ষকেরা পিটিয়ে মারে। নিহতের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। হরিয়ানায় এই ধরনের হত্যা লেগেই আছে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তার আগে মেরুকরণের লক্ষ্যে ফের গো-রক্ষকেরা ময়দানে সক্রিয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৩ আগস্ট মাধ্যরাতে বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন আরিয়ান। পথে এক জায়গায় নুডলস খান তাঁরা। এর পর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের ধাওয়া করে গোরক্ষকের দল। প্রায় ২৫ কিলমিটার ধাওয়া করার পর গুলি করে খুন করা হয় আরিয়ানকে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে, তাঁদের কাছে খবর ছিল রেনল্ট ডাস্টার ও টয়োটা ফর্চুনার গাড়িতে করে শহরে কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছে ও গুরু পাচারের চেষ্টায় রয়েছে। পাচারকারীর সন্ধানে গাড়ি নিয়ে বের হয় অভিযুক্তরা।
অনেকে বলছেন ভোট না হয় পর্যন্ত এমন ঘটনা হয়ত ঘটেই থাকবে। মুসলিমদের নিশানা করতে গিয়ে এমন দুচারটে মিসফায়ার হয়ত হয়ে যাবে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে এমন বহু নির্সদের প্রাণ যাবে। গেরুয়া সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে যে গুন্ডা ও খুনি বাহিনী টোরি হয়েছে তারা খুন করে তবেই থামবে। বোতলের জীন বাইরে বের হয়ে গিয়েছে তাদের এত সহজে আর ঢোকানো যাবে না। তাছাড়া এই খুন জখম রাহাজানি যখন কিছু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় পেশা, তখন তা এত সহজে বন্ধ হবে কিনা সংশয় আছে। বহু গোরক্ষক আছে যারা মোটা বেতনের চাকরি করে। খুন, যখন ও লুঠপাঠের বিনিময়ে তারা অর্থ উপার্জন করে। পুলিশের মদতে তারা এমন কাজ করে। ফলে আগামীতে আরও কত আরিয়ানের প্রাণ যাবে কেউ বলতে পারে না। এমনটাই বলছেন অনেকে।