রবিবার চিনের উত্তরের শহর তাংশান-এ ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে গেল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৭। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভ-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৭৬ সালে চিনে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার সঙ্গে তুলনা চলতে পারে এই ভূমিকম্পের।হিবেই প্রদেশে ভূ-কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.১।
আরও পড়ুন : খাস কলকাতায় ভূতের ভয়ে নাবালিকার মৃত্যু, দাবি পরিবারের, মানতে নারাজ পুলিশ
রবিবার সকাল ৬.৩৮-এ তাংশানের কাছাকাছি জায়গায় ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। উল্লেখ্য, বেজিং থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে এই তাংশান। যদিও চিনের সেসমোলজিক্যাল অথরিটি জানিয়েছে, চিনের আজকের ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.১।
১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই কয়লা খনির শহর তাংশানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ১০ লক্ষ মানুষ। সেইদিন ৭.৮ ও ৭.১ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প ঘটেছিল। প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও রাজনৈতিক কারণে মৃত্যুর সংখ্যা কম করে দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।
করোনাভাইরাসের ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই একের পর এক ভূমিকম্প চিনে। এরই মধ্যে বেশ কিছু অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সীমান্ত নিয়ে নাজেহাল চিন। সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে প্লেগের হানা। ফলে করোনার ধাক্কার মধ্যেই একের পর এক ঘটনায় বেসামাল চিন। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই বাকি বিশ্বের জন্যে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ দেয় না চিনের কমিউনিস্ট সরকার।
আরও পড়ুন : এ বার করোনা পজিটিভ ঐশ্বর্যা এবং আরাধ্যাও, নেগেটিভ রিপোর্ট এল জয়ার