ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর প্রায় ৯৭% শুল্ক মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। মোট ৫১৬১ পণ্যের উপর ৯৭% শুল্ক মকুব করবে বেজিং। গত ১৬ জুন ঢাকাকে (Dhaka) এই বার্তা জানিয়েছে শি চিনপিং প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ১৫ জুন রাতে লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে চিনা জওয়ানদের সংঘর্ষ হয়।বাংলাদেশের সঙ্গে চীন যা করতে চাইছে তা চালাকি ছাড়া আর কিছু নয়।
নেপালের (Nepal) সঙ্গে মানচিত্র বিতর্কে চিনের দিকেই আঙুল তুলেছিল নয়াদিল্লি। ভারতীয় কূটনীতিকদের অভিযোগ ছিল, বেজিংয়ের প্ররোচনাতেই নেপালের ওলি সরকার ভারতীয় এলাকা জুড়ে নেপালের নতুন মানচিত্রে সিলমোহর বসিয়েছে।
আরও পড়ুন : চিন নিয়ে যে প্রশ্নগুলি মোদী ও কেন্দ্র সরকারের মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে, দেখে নিন চোখ চালিয়ে
নেপালের পর এবার চিনের (China) নজর আরও এক ভারতীয় পড়শি বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে। লাদাখে (Ladakh) ভারতীয় জওয়ানদের (Indian Army) সঙ্গে সংঘাতের ঠিক একদিন বাদেই ঢাকার জন্য বিশেষ উদ্যোগ ঘোষণা বেজিংয়ের। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে।
‘চিনের অর্থ মন্ত্রকের শুল্ক কমিশন গত ১৬ জুন বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৯৭% শুল্ক মকুবের নোটিশ জারি করেছে। ১ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’ বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, শুল্ক মকুবের জন্য আগে বেজিংয়ের কাছে আবেদন করেছিল ঢাকা। যার জবাবে চমকে দেওয়া এই সিদ্ধান্ত চিনের।
প্যাসিফিক ট্রেড চুক্তি অনুযায়ী, আগে থেকেই ৩০৯৫টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে বাংলাদেশ। তবে এবার সব মিলিয়ে মোট ৮২৫৬ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা করে দিয়েছে বেজিং।
কূটনীতিকদের একাংশের মতে, পড়শিদের (Indian Neighbouring Countries) হাতিয়ার করেই ভারতকে কোণঠাসা করার কৌশল নিয়েছে চিন। পাকিস্তান (Pakistan) তো বটেই, উত্তরে নেপাল, দক্ষিণে শ্রীলঙ্কাতেও ক্রমশই বাড়ছে চিনা প্রভাব। এবার পূর্বে বাংলাদেশকে নিশানা করেছে চিন। বিগত বছরগুলিতে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়িয়েছে চিন।
অনেকে প্রশ্ন করেছেন মোদির দোলনা নীতি নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে নিজের দেশের জোয়ানদের এইভাবে কেন তিনি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন। কেন বলছেন না যে চীন ভারতের ভিতরে ঢুকেএসেছে। তিনি কেবল এই সত্য বলতে যদি এমন দ্বিধাগ্রস্ত হন, তাহলে জওয়ানরা মনবল পাবে কথা থেকে। গোরক্ষ, কিংবা ভক্তরা তো সীমান্তে লড়তে যাবেন?
আরও পড়ুন : নোবেল জয়ী মালালা এখন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট