The News Nest: আকাশে ঘন কালো মেঘ। এরমধ্যেই লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে দিব্যি নামছিল একটি বিমান। আচমকাই তাতে আছড়ে পড়ল কয়েক কোটি ভোল্টের বজ্রপাত। একটি নয় পরপর তিনটি। চোখের নিমিষে শাখা-প্রশাখা নিয়ে বিদ্যুতের ঝলকানি, যেন এই বুঝি ভস্ম হয়ে গেল বিমানটা। এমনই এক হাড়হিম করা দৃশ্য ক্যমেরাবন্দি করেছেন লন্ডনের এক ব্যাক্তি। আর সেই ভিডিও এখন সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।
বিমানবন্দরের কাছে একটি বহুতল থেকে এক ব্যক্তি বিমানটির অবতরণের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। তখনই এমন ঘটনা তাঁর ক্যামেরাতে ধরা পড়ে। পরে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, একটি বিমান গতি কমিয়ে নেমে আসছে। কয়েক সেকেন্ড পরেই কয়েক মুহূর্তের জন্য গোটা আকাশ আলোয় ভরে ওঠে। বিদ্যুতের তিনটি রেখা বিমানটিকে ছুঁয়ে যায়। যিনি সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন, এমন ঘটনা দেখতে পেয়ে তিনিও অবাক হয়ে যান। তাঁর মুখ থেকে বিস্ময়সূচক শব্দ বেরিয়ে আসে। বলে ওঠেন, “ও মাই গড”। যদিও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ওই বিমানটি নির্বিঘ্নেই অবতরণ করেছে হিথরো বিমানবন্দরে। স্বাভাবিক ভাবেই অবরতণ করে সেটি। কোনও যাত্রীরও কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: #KarachiBlackOut: নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় বিমান? আতঙ্ক ছড়াল পাকভূমে
কিন্তু কিভাবে কোটি কোটি ভোল্টের এই বিদ্যুতের হাত থেকে বাঁচল এই বিমানটি সেটাই এখন প্রশ্ন নেটিজেনদের। বিমান বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের বজ্রপাতের কথা মাথায় রেখেই বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি বিমান তৈরি করে থাকেন। মূলত বিমানের বাইরের ফিউসালেজের অংশ বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক লক্ষ কোটি ভোল্টের বিদ্যুৎ বিমানের নাকের ভিতর প্রবেশ করে লেজ দিয়ে বেরিয়ে যায়। কীভাবে সেটা সম্ভব? বিমানের বাইরের অংশ যে মিশ্র উপাদানে তৈরি থাকে, সেটিকে বজ্রনিরোধক হিসাবে বানানো হয়। এর ভিতরে থাকে একটি তামার ঘন জালের স্তর। এই স্তরটিই মূলত বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাদি ও যাত্রীদের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে বাঁচায়। ফলে বিমানের ভিতরের অংশে কোনওভাবেই বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রভাব পড়ে না। এছাড়া বিমানের বাইরের অংশ বা আবরণ উচ্চ তাপ সইতে পারে। তাই উড়ন্ত বিমানে বাজ পড়লেও ওই বিমানের কোনও ক্ষতি হয়না।
দেখুন সেই ভিডিও….
আরও পড়ুন: বায়ুসেনার প্রধান হলেন এক কৃষ্ণাঙ্গ, ইতিহাস গড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র