চিনের নজর এবার ‘পৃথিবীর ছাদ’-এর দিকে, পামিরমালভূমিও নিজেদের বলে দাবি চীনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভারত (India), ভূটানের (Bhutan) পর এবার ‘জমি হাঙর’ চিনের (China) নজর তাজিকিস্তানের পামির মালভূমির দিকে। সম্প্রতি এক চিনা ইতিহাসবিদ পামির (Pamir) চিনের এলাকা ছিল বলে দাবি করেন। ব্যস, তারপর থেকেই চিনের সংবাদমাধ্যমে পামিরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে ছিনিয়ে নেওয়ার হুঙ্কার দেওয়া হচ্ছে।

চিনের ইতিহাসবিদ ইয়ো ইয়াও লু সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, একটা সময় পুরো পামির এলাকা চিনের ছিল। তাই এবার পামিরের পার্বত্য ভূমি চিনের ফেরত পাওয়া উচিত। তাঁর এমন লেখার পর থেকেই চিনের সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে। তারাও অতীত খুঁজে দেখতে নেমেছে।

আরও পড়ুন: আস্থার আবেগ নয়, নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়্যারের বিলবোর্ডে বিপুল খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপন দিতে…জেনে নিন কত

ইতিহাসবিদ ইয়ো ইয়াও লু প্রতিবেদনে আরও লিখেছেন, ১৯১১ সাল থেকে চিন যে নীতি নিয়েছে তাতে হারানো জমি পুনর্দখলের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে চিন বেশ কিছু হারানো জমি ফেরত পেয়েছে। তবে আরও অনেক জমি পাওয়া বাকি। পামির বহু প্রাচীন একটি জায়গা। সেখানে সবার প্রথমে চিনের অধিকার ছিল। কিন্তু গত ১২৮ বছর ধরে পামিরের পার্বত্য অঞ্চল আর চিনের তত্ত্বাবধানে নেই। তাই এবার সেই অঞ্চল ফিরে পেতে চায় চিন।

মধ্য এশিয়ার ছোট ও গরীব দেশ তাজাকিস্তান। ২০১০ সালে চিন ও তাজাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী চিনকে ১১৫৮ বর্গ কিমি জায়গায় সঁপে দিতে হয়েছিল তাজাকিস্তানকে। চিন সেই চুক্তির পর তাজাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে তাশকুরগায় এয়ারপোর্ট নির্মাণের কাজও শুরু করে দিয়েছে। যা কিনা চিন্তায় বিষয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যে চিনের সাম্রাজ্য বিস্তারের দিকে নজর রেখেছে রাশিয়া। কারণ মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলির উপর রাজনৈতিক আস্থা রয়েছে রাশিয়ার। তা ছাড়া চিনের এই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই রুখে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকা।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী বিস্ফোরণের পর মাত্র এক মাসের খাবার মজুত রয়েছে লেবাননে!

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest