চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন যদি ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে যায়, তাহলে আগের থেকেও বেশি ক্ষতি করে দিতে পারবে ভারতীয় সেনার। অর্থাৎ বেজিংয়ের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, এবারে যুদ্ধ বাঁধলে ৬২’র থেকেও বেশি ক্ষতি হবে ভারতের। কিন্তু গ্লোবাল টাইমসের দাবি, চিন নয়, এবারের সংঘর্ষে প্ররোচনা দিয়েছে ভারত।
গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সেদেশের বিদেশমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,”চিন সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্কে বিশ্বাস করে। চিনের গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিবেশী দেশ আছে। আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে সব সমস্যা মেটানোর পক্ষপাতি। ভারত এবং চিনের সীমানা এখনও নির্ধারিত হয়নি। তাই একটা বিবাদ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঘরময় রক্ত, বিছানা থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ, চাঞ্চল্য তোপসিয়ায়
সোমবারই ফের পূর্ব লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে আসে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যাংগং লেকের (Pangong Tso lake) দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতের জমিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল লালফৌজ। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।
লালফৌজকে (PLA) বাধা দিলে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে একপ্রস্থ সংঘর্ষ হয় বলেও খবর। ১৫ জুনের পর ফের ২৯ আগস্ট ও ৩০ আগস্ট রাতে ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে।
লাল ফৌজের আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্যাঙ্গং হ্রদের সংলগ্ন পাহাড়ি খাঁজ বা ফিঙ্গার পয়েন্টগুলো চিনের নজরে রয়েছে। পাহাড়ি খাঁজে নিজেদের অধিকার কায়েম করতে পারলে আকসাই চিন থেকে প্যাঙ্গং অবধি এলাকায় তাদের সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারবে চিন।
অনেকে বলেন, এটি রাজনৈতিক বিষয় নয়। তাছাড়া দেশটি পাকিস্থান নয়। পাকিস্তান হলে মোদী সরকার কূটনীতি, বিদেশনীতি, রাজনীতি অতি সহজেই মিশিয়ে ফেলতে পারে । পাকিস্তানকে সামনে রেখে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে নেমে পড়েন গেরুয়ায় সেনা এবং গেরুয়া মিডিয়া। কিন্তু এবার টক্কর চীনের সঙ্গে। তাই প্রতিটি মন্তব্য বুঝে শুনে করতে হবে। সে কথা দেশ নেতৃত্বকে মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ প্রণব মুখার্জির প্রয়াণে বিহ্বল বাংলাদেশ, স্তব্ধ হাসিনা