PUBG ব্যানের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাকে কাজে লাগাতে চেষ্টা চিনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বুধবার তৃতীয় দফায় ভারত পাবজি-সহ ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরের দিনই চিনা বাণিজ্যমন্ত্রক প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত চিনের ব্যবসায়ীদের আইনি অধিকার খর্ব করেছে। সিদ্ধান্ত বদলে সংশোধনের আর্জিও জানিয়েছেন চিনা বাণিজ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র গাও ফেং। যদিও আগের দুই দফার মতো এ বারও চিনের সেই আর্জিতে সম্ভবত কান দেবে না নয়া দিল্লি।

চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, দুই প্রাচীন সভ্যতা ভারত ও চিন অনবদ্য সংস্কৃতি সম্পন্ন। হাজার হাজার বছর ধরে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান চলছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা চিনে খুব জনপ্রিয়। এরপর তাঁর কবিতার একটি লাইন উদ্ধৃত করে ভারতকে বার্তা দেন চিনের মুখপাত্র। We read the world wrong, and say that it deceives us- মাধ্যমে ভারত চিনকে ভুল বুঝছে, সেই বার্তাই বোধহয় দিতে চাইলেন চিনের মুখপাত্র।

আরও পড়ুন : বিধায়ক- কর্মীদের অ্যান্টিজেন টেস্ট, কোভিড নিয়ম মেনেই ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গে বসছে অধিবেশন

চিনের বাণিজ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র গাও ফেং জানিয়েছেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চিনকে। কারণ, এই অ্যাপগুলির মধ্যে অনেক অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম নয়। ফলে সেইসব অ্যাপে বিনিয়োগের পরিমাণও বেশি। কোনও রকমের আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এটা তাদের বড় ভুল। এই ভুল শুধরে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে চিন।

অ্যাপগুলির মধ্যে গেমিং অ্যাপ পাবজির ডাউনলোডের দিকে এক নম্বরে রয়েছে ভারত। প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি ভারতীয় এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন যা গোটা পৃথিবীতে ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ। এর আগে টিকটক-সহ ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। অর্থাৎ জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। টেনসেন্ট, আলিবাবার মতো বড় কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে এইসব অ্যাপে। তাই এর একটা বড় প্রভাব যে চিনের অর্থনীতিতে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।

অনেকে বলছেন এটা কি ধরণের পদ্ধতি। নয়া দিল্লির কি ধারণা চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই সীমান্ত সমস্যা মিতে যাবে? কেউ কেউ বলছেন পরে হয়ত পাবজির মত লাভজনক গেমে মুকেশ আম্বানির অন্তর্ভুক্তি হবে। ইতিমধ্যেই টিকটিক নিয়ে রিলায়েন্স কথা চালাচালি করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ দরকার। কর্ম সংস্থান দরকার। জিডিপি মাইনাসে চলে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক খারাপ করা কাজের হবে না।

এরই মাঝে কেউ কেউ বলছেন, সবটা হচ্ছে মার্কিন নির্বাচনের দিকে নজর রেখে। মার্কিন ভোট শেষ হলেই নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের এই সম্পর্ক আর উত্তেজক থাকবে না। তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যদিও সবটাই কূটনৈতিক অনুমান।

আরও পড়ুন : মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ,গুরুতর অসুস্থ মন্ত্রী নির্মল মাজি,ভরতি বাঙুর হাসপাতালে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest