ওয়েব ডেস্ক: চিন এখন বানর সংকটে। সকলের আগে করোনা টিকা তৈরি করতে প্রাণপণে চেষ্টা করছে তারা ফলে ছুটির দিনেও গবেষকদের রেহাই নেই। কিন্তু সমস্যা হল, গবেষণার জন্য বানরের সরবরাহ তেমন নেই। তাই বিদেশে নিয়ে গিয়ে এই টিকার মানব শরীরে পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে।
উত্তর পূর্ব চিনের শেনিয়াং শহরের ওষুধ কোম্পানি ওয়াইসেং বায়োফার্মা। জানুয়ারি থেকে তারা অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছে টিকা তৈরির জন্য। বিশেষ করে চিন থেকে করোনাভাইরাস বিদায় নিয়েছে বলে দাবি করার পর যেভাবে সেখানে ফের সংক্রমণ শুরু হয়েছে, তা রুখতে এখনই দরকার টিকা।গোটা বিশ্বে এই রোগে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে চারলাখের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন : পাত্তাই দিল না দিল্লিকে, ভারতীয় এলাকা নিয়ে নেপালের মানচিত্র বিলে অনুমোদন রাষ্ট্রপতির
ওয়াইসেং বিখ্যাত ছিল র্যাবিস টিকা তৈরির জন্য। কিন্তু তারা তাদের ৯টি ওয়ার্কশপের একটিকে করোনা টিকা তৈরির জন্য ছেড়ে দিয়েছে, এ জন্য বহাল করেছে আরও ৫০ জন কর্মীকে। যদিও গবেষণা এখনও রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে তা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে টিকা বাজারে আনার ঝুঁকি নিচ্ছে তারা।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও হয়নি। ওয়াইসেং চেয়ারম্যান ঝ্যাং ই বলেছেন, এই টিকার দ্রুত এসে পড়া উচিত। ট্রায়াল শেষ করতে আবার অতিমারী শুরু না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা অসম্ভব। তাই তাঁরা গবেষকদের ছুটি দিচ্ছেন না, কারণ প্রচুর কাজ বাকি রয়েছে।
এখন ওয়াইসেং টিকা পরীক্ষা করছে জন্তুর ওপর। তারপর মানব শরীরে পরীক্ষা হওয়ার কথা। ঝ্যাংয়ের দাবি, ইঁদুর আর গিনিপিগের ওপর পরীক্ষা করে তাঁরা আশাপ্রদ ফল পেয়েছেন।
কিন্তু সেখানে থেমে থাকলে চলবে না। এবার দরকার বানর। তার ওপর হবে পরীক্ষা।ফলে বানরের চাহিদা গিয়েছে বেড়ে। দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি বানরের জন্য আগে খরচ হত ১০,০০ থেকে ২০,০০০ চিনা টাকা বা ইউয়ান। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ইউয়ান।
কিন্তু সেখানে থেমে থাকলে চলবে না। এবার দরকার বানর। তার ওপর হবে পরীক্ষা।ফলে বানরের চাহিদা গিয়েছে বেড়ে। দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি বানরের জন্য আগে খরচ হত ১০,০০ থেকে ২০,০০০ চিনা টাকা বা ইউয়ান। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ইউয়ান।
আরও পড়ুন : ভারত একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে পরিণতি ভয়াবহ হবে,জেনে নিন হুঁশিয়ারি দিয়ে কি বলল চীন