Site icon The News Nest

করোনার বিরুদ্ধে ভারতীয়দের লড়াইয়ে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা ইমরান খানের, কেন্দ্রকে চিঠি পাক সংস্থার

imran khan 1

ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি, এই লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শনিবার টুইটারে তিনি লেখেন, ‘বিপজ্জনক কোভিড-১৯ ঢেউয়ের বিরুদ্ধে ভারতবাসীর লড়াইয়ের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। প্রতিবেশী দেশ এবং বিশ্বজুড়ে আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা প্রার্থনা জানাই। বিশ্বজোড়া এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে মানবতার লড়াইয়ে আমাদের সামিল হতে হবে’।

গত মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ইমরান। এখনও তিনি নিভৃতবাসে রয়েছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাতে পাকিস্তানেও পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ পর্যন্ত সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে ১৫৭ জন।

এই পরিস্থিতিতেও পাকিস্তানের নাগরিক সমাজ এবং জনকল্যাণমূলক সংস্থাগুলির একাংশের তরফে করোনা যুদ্ধে ভারতের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা হচ্ছে। দেওয়া হয়েছে সাহায্যের প্রস্তাবও।

শুক্রবার করোনা মোকাবিলায় ভারতকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের পরিচিত সমাজকর্মী এবং মানবাধিকার রক্ষা আন্দোলনের ‘মুখ’ ফয়সল ইধি। আন্তর্জাতিক পরিচিতি সম্পন্ন জনকল্যাণমূলক সংস্থা ইধি ফাউন্ডেশনের প্রধান ভারতে ৫০টি অ্যাম্বুল্যান্স এবং চিকিৎসক ও স্বেচছাসেবক পাঠানোর অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বাইডেনের বং কানেকশান! পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

ভারতে আসার অনুমতি চেয়ে মোদীকে পাঠানো চিঠিতে ফয়সল লিখেছেন, ‘ভারতের বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই
সঙ্কটজনক পরিস্থিতি দেখে আমরা মর্মামত। প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে আমরা সহমর্মিতা জানাচ্ছি’। ফয়সল জানিয়েছেন, তিনি নিজে পাক স্বেচ্ছাসেবী দল নিয়ে ভারতে আসতে চান। অ্যাম্বুল্যান্স চালক, চিকিৎসাকর্মী এবং চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত ওই স্বেচ্ছাসেবী দল ভারত সরকারের নির্দেশ মতো কোভিড মোকাবিলার লড়াইয়ে অংশ নেবে বলে মোদীকে চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।

প্রয়াত সমাজকর্মী আব্দুল সাত্তার ইধি প্রতিষ্ঠিত ইধি ফাউন্ডেশনে বিশ্বের বহু দেশে সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে জড়িত। করাচি-
স্থিত এই সংস্থার বর্তমান প্রধান ফয়সল।চিঠিতে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কেবল ভারতে প্রবেশ করার অনুমতিটুকু ছাড়া আর কোনও রকম সাহায্য তাঁদের সংগঠন চাইছে না। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের দলের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সবের ব্যবস্থাই আমরা করব। আমাদের কেবল আপনার অনুমতি ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যটুকু প্রয়োজন।’’

গত বছর পাক সরকারের করোনা ত্রাণ প্রকল্পে ১ কোটি ডলার (প্রায় ৭৫ কোটি টাকা) দান করেছিলেন ফয়সল। তিনি নিজেও
কিছুদিন আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। কেবল ইধি ফাউন্ডেশনই নয়, গোটা পাকিস্তানই কার্যত পাশে থাকা বার্তা দিয়েছে। সেদেশের টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #indianeedsoxygen।  টুইটার-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সাধারণ পাক নাগরিককেই ভারতের জন্য প্রার্থনা করার কথা জানাতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: রমজানেই প্রকাশ্যে আসছে রোহিঙ্গা ভাষায় কুরআনের প্রথম অনুবাদ

Exit mobile version