নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের সংকটের তদন্তে এ বার তত্পর হল ভারত-সহ ৬২টি দেশ। অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে শামিল হয়ে ৬২টি দেশ ৭৩তম ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলিতে প্রস্তাব পেশ করেছে। তাতে অতিমারী নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়েও তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সঙ্কট নিয়ে নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং সবিস্তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে হু-কে দিশা ঠিক করার আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রস্তাবে। শুধু তাই নয়, এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কতটা নিরেপক্ষ পদক্ষেপ করা হয়েছিল তা নিয়েও তদন্তের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই খসড়ায়।
আজ, সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে ৭৩তম ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলি (ডব্লিউএইচএ)-র বৈঠক। সেখানেই এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ওই বৈঠকে থাকছে ভারতও। প্রথম থেকেই অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া এবং সমর্থন জোটানোর কাজে নেমেছিল তারা। অবশেষে এক জোটে এই তদন্তে যোগ দিচ্ছে ভারত-সহ ৬২টি দেশ। এই তদন্তের খসড়া প্রস্তাবে ভারত ছাড়াও সমর্থন জানিয়েছে জাপান, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল এবং কানাডার মতো দেশ।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত আরও ৫২৪২, আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ছাড়াল
বিশ্ব জুড়ে করোনার সংক্রমণের পরই এর উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আমেরিকা বার বারই এই সংক্রমণের জন্য চিনকে দায়ী করেছে। শুধু তাই নয়, কী ভাবে এই সংক্রমণ ছড়াল, তা নিয়ে তদন্তের দাবিও তোলে তারা। সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি করোনাভাইরাস নিয়ে হু-র বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগও তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনাভাইরাস নিয়ে হু-র ভূমিকা কতটা নিরপেক্ষ ছিল, তা নিয়ে এ বার তদন্তের দাবি উঠল।
করোনাভাইরাস নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তে হু-কে সামিল করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী মেরিস পেইন। তিনি বলেন, “হু-কে করোনারভাইরাসের তদন্ত করতে দেওয়া অনেকটাই ‘শিকারিকে শিকার বন্ধ করে বনাঞ্চলের দেখাশোনা করতে দেওয়ার’ মতোই বিষয়।
গত বছরের নভেম্বরে করোনার সংক্রমণ শুরু হয় চিনের হুবেই প্রদেশে। ভরকেন্দ্র ছিল উহান। তার পর সেখান থেকে বিশ্বের ১৮৫টি দেশে সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ লক্ষ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষের। সবচেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি আমেরিকার। তার পরই রয়েছে রাশিয়া, ব্রিটেন, ব্রাজিল, স্পেনের মধ্যে মতো দেশগুলি।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ, দলিত চিকিৎসককে রাস্তায় ফেলে পেটাল পুলিশ