যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এবং তা সোমবারের আগেই। রবিবার সকালে এমনটা জানিয়েছিলেন ট্রাম্পের চিকিৎসকরা। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে আচমকা বেরিয়ে পড়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। তাঁর এই আচরণে স্তম্ভিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরেও এক জন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কী ভাবে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজ করতে পারলেন ট্রাম্প। তাতে অবশ্য মার্কিন প্রসেডিন্টের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। ওই দিনই টুইটারে প্রকাশিত এক ভিডিয়োয় ট্রাম্পকে বলতে দেখা যায়, ‘কোভিডের চিকিৎসা চলাকালীন অনেক কিছুই শিখলাম, জানলাম। এটাই আসল বিদ্যালয়। বিষয়টি ভাল ভাবে আত্তীকরণ করেছি।” একই সঙ্গে তিনি জানান যে হাসপাতালের বাইরে যারা অপেক্ষা করছে তাদের তিনি একটু চমক দিতে চান।
আরও পড়ুন: ‘মগজখেকো’ অ্যামিবা কুরে কুরে খেয়েছে স্নায়ু, মর্মান্তিক মৃত্যু ছ’বছরের শিশুর
তারপরেই দেখা যায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন তিনি। যদিও পরে আবার হাসপাতালেই ফিরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও সামলোচনা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ট্রাম্প। এক জন চিকিৎসাধীন ব্যক্তিকে বাইরে বেরনোর ছাড়পত্র দিলেন কী ভাবে। ট্রাম্পের চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড সেনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ট্রাম্প। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোভিডের হালকা উপসর্গ রয়েছে। চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। রবিবার সকালে হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক সন কনলি জানান, চিকিৎসায় ভালই সাড়া দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডের উপসর্গ ধরা পড়ার পর এক সপ্তাহ থেকে দশ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারও কারও এর মধ্যে স্বাস্থ্যের অবনতিও হতে পারে। তাই এই সময়টা পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ট্রাম্প ভর্তি হওয়ার দু’দনের মধ্যেই ছাড়া পাওয়ায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ব্যবসায় লাভই হচ্ছে না! অজুহাতে এক দশক ধরে কর ফাঁকি দিয়েছেন ট্রাম্প!