আস্থার আবেগ নয়, নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়্যারের বিলবোর্ডে বিপুল খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপন দিতে…জেনে নিন কত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

৫ আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন এক টুকরো ভারত ফুটে ওঠে টাইমস স্কোয়্যারে। একটি বিলবোর্ডে শ্রী রাম এবং অযোধ্যায় তৈরি হতে চলা রাম মন্দিরের ছবি জ্বলজ্বল করে ওঠে। তারপর থেকেই অনেক ভারতীয়র কৌতূহল, এভাবে বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দিতে ঠিক কত খরচ হয়! কীভাবেই বা দিতে হয়। চলুন কৌতূহল দূর করা যাক।

টাইমস স্কোয়্যারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গেলেই দেখতে পাবেন, তালিকা প্রায় ২৩৮টি বিলবোর্ড রয়েছে। অর্থাৎ কেউ চাইলে যে কোনওটিতেই বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। কিন্তু বিজ্ঞাপন দিতে হলে কী করতে হবে? ওয়েবসাইটে ১৫টি সাইন হোল্ডারের নাম উল্লেখ আছে। ডিসপ্লে বিজ্ঞাপনের জন্য পছন্দ মতো সাইন হোল্ডার বেছে নিন। এবার BigSignMessage.com -এ গিয়ে বিজ্ঞাপনের জন্য অনুরোধ পাঠাতে হবে। আপনার বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখে তারা রিপ্লাই করবে। ক্লিন চিট মিললেই বিলবোর্ডে ভেসে উঠবে আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন। কোনও কোম্পানি যেমন বিজ্ঞাপন দিতে পারে, তেমনই ব্যক্তিগতভাবেও বিলবোর্ড ভাড়া করা যায় কিছু বার্তা দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী বিস্ফোরণের পর মাত্র এক মাসের খাবার মজুত রয়েছে লেবাননে!

এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে বিখ্যাত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় এই এলাকায় বিজ্ঞাপন দিতে ঠিক কতখানি গ্যাঁটের কড়ি খরচ হবে? জানা গিয়েছে, ৫ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা) থেকে শুরু করে ৫০ হাজার ডলারের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। কোনও নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য নেই। কত সময়ের জন্য বিলবোর্ড ভাড়া নিচ্ছেন, তার উপরও দাম নির্ভর করে। নানা ধরনের প্যাকেজের অপশন পেয়ে যাবেন BigSignMessage.com সাইটেই। কেউ চাইলে এক বছরের জন্যও বিলবোর্ড বুক করতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ১১ লক্ষ মিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ লক্ষ ডলার।

আমেরিকাতেই অন্য কোনও জায়গায় বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দেওয়ার খরচ এর থেকে অনেকটাই কম, কিন্তু তবু টাইমস স্কোয়্যারের বিলবোর্ড নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। একে তো ভিজিবিলিটি বিপুল, তা ছাড়া ‘লার্জার দ্যান লাইফ’-এর মজাই আলাদা।  হিসেব বলছে, টাইমস স্কোয়্যার দিয়ে প্রতি দিন গড়ে তিন লাখ আশি হাজার লোক যাওয়া-আসা করেন। এটা এই করোনা-র সময়কার হিসেব নয়, যখন দুনিয়াটা স্বাভাবিক ছিল, সে সময়কার হিসেব। এবং, এই যে তিন লাখ আশি হাজার মানুষ, এরাও সবাই পেডেস্ট্রিয়ান নন। পথচারীর সংখ্যাটা হল দু’লাখ পঁয়ষট্টি হাজার। বাকিরা হলেন ওই জায়গা দিয়ে যাওয়া অজস্র গাড়ির ড্রাইভার এবং প্যাসেঞ্জার। একটু কর্মব্যস্ত দিনে টাইমস স্কোয়্যারে হাজির এমন লোকের মোট সংখ্যা চার লাখ ষাট হাজারে গিয়ে পৌঁছত। আর, নিউ ইয়ারস ইভ-এর মতো কোনও বিশেষ অকেশন-এ সেই সংখ্যাটাই গিয়ে দাঁড়াত দশ লাখের বেশি।

আরও পড়ুন: ব্রিটিশ মুদ্রায় স্থান মহাত্মা গান্ধী ও নুর ইনায়েত খানের, সুপারিশ গেল রয়্যাল মিন্টে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest