শুক্রবার ২ দিনের বাংলাদেশ সফরে ঢাকা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে স্বাগত জানান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদীর সফরের বিরোধিতায় গত কয়েকদিন ধরেই ভারত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে হেফাজতে ইসলাম-সহ বেশ কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন। ইতিমধ্যে তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে হাসিনা প্রশাসন।
শুক্রবার জুম্মার নমাজের পর ‘জাতীয় মসজিদ’ থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মোদী-বিরোধী শ্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মূহুর্মূহু কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে, অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭২ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগ আহত ব্যক্তি ইসলামি দলগুলোর নেতা-কর্মী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, নামাজে আসা সাধারণ ব্যক্তি সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ১০ কর্মীও রয়েছেন। আহতদের বেশির ভাগই মাথায়, পিঠে, হাতে কিংবা পায়ে চোট পেয়েছেন। কারও কারও ইটপাটকেলের আঘাতে মাথা ফেটে গেছে।
আরও পড়ুন: কিলবিল করে জ্যান্ত পোকা! নিষিদ্ধ এই চিজ বিপুল দামে বিক্রি হয় কালোবাজারে
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে পুলিশের সংঘর্ষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের চার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারি দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
সেই সময় পুলিশের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর হেফাজত নেতাকর্মীরা মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। হাটহাজারিতে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়নের পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের প্রতিবাদে পৃথকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছেন কিছু ইসলামপন্থী ও বাম ধারার কয়েকটি সংগঠন বৃহস্পতিবার দুপুরেও ঢাকার মতিঝিল এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মিশরে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত অন্তত ৩২, আহত বহু