রাশিয়ায় জোড়া বৈঠকের পরেও লাদাখ-পরিস্থিতি বদলের ইঙ্গিত মিলল না। সরকারি সূত্রের খবর, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে নীতিগত ভাবে সম্মত হলেও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সম্মত হয়নি চিন।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে বৃহস্পতিবার দু’দফায় আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই। প্রথমবার মধ্যাহ্নভোজন পর্বের বৈঠকে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও ছিলেন। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর এবং ওয়াং লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
লাদাখের চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সশস্ত্র চিনা বাহিনীর সংখ্যা বাড়তে থাকা নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তিত ভারত। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মস্কোয় আয়োজিত চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসে এমনটাই স্পষ্ট জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর।
আরও পড়ুন : অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবার বিজেপির সমর্থক কঙ্গনার মা
চিনের বিদেশমন্ত্রীকে ভারতের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, “সীমান্তে বারবারই উস্কানিমূলক আচরণ করছে চিনের সামনের সারির সৈন্যরা। একাধিক বার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অমান্য করে সংঘর্ষ পরিস্থিতি তৈরি করছে তারা। অথচ চুক্তি অনুযায়ী এত বড় চিনা বাহিনীর অস্ত্র নিয়ে মোতায়েন থাকার কথাই নয় সীমান্তে। চিন কখনওই এই কাজের কোনও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।”
বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় সায় দিয়েছেন ওয়াং। কিন্তু নিজেদের ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অখণ্ডতা বজায় রাখা’র কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপাতত প্যাংগং হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়াগুলি থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির পিছু হটার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
বৃহস্পতিবার দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে এলএসি-তে উত্তেজনা প্রশমন এবং সীমান্ত সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য পাঁচ দফা সূত্রে ঐকমত্য হয়েছে বলে সাউথ ব্লক সূত্রের দাবি। এর মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আগেকার চুক্তি ও প্রটোকল মেনে চলা, সঙ্ঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে এমন পদক্ষেপ এড়ানোর মতো বিষয়গুলি রয়েছে। যদিও চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। যা থেকে মনে হচ্ছে,বরফ আদৌ গলেনি। সে ভাবে কোনও দিশাও মেলেনি।
আরও পড়ুন : রোজ গোমূত্র পান করেন অক্ষয় কুমার! বেয়ার গ্রিলসকে আর কী জানলেন খিলাড়ি?