গাঁজা নিয়ে এখন তোলপাড় মিডিয়া। এর টিআরপি মোক্ষম। পাতি গাঁজা খোর হলে ভিন্ন কথা। এ যে সেলেব গাঁজারু। জেএনইউ বিক্ষোভে শামিল হওয়া দীপিকা বুঝেছেন কত ধানে কত চাল। তবে এরই মাঝে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বললেন আগে তিনি গাঁজা খেতেন। তিনি জানান ”হ্যাঁ, অনেক আগে আমি গাঁজা সেবন করতাম। কিন্তু এখন আর করি না। দেশে গাঁজা সেবন বৈধ করার জন্য অনেকেই দাবি করছেন বহুদিন ধরে। তবে এই ব্যাপারে আমি চাই, নিউ জিল্যান্ডের মানুষই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক। আমি এই নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।’
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন কথাগুলো বলার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই হাঁ হয়ে গিয়েছিলেন। খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় স্বীকার করে নিচ্ছেন, তিনি এক সময় গাঁজা সেবন করতেন! তবে অনেকেই জেসিন্ডার সত্ সাহসের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের দাবি, যেটা সত্যি সেটা স্বীকার করতে অনেকেই পারে না। আর তিনি তো অপরাধমূলক কিছু করেননি।
আরও পড়ুন : ভোট পাটিগণিতে দক্ষ মুকুল, আস্থা শাহ-নাড্ডার,পাচ্ছেন বাংলার বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব
১৭ অক্টোবর নিউ জিল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিউ জিল্যান্ডে গাঁজার বৈধতা নিয়েও গণভোটের আয়োজন করা হবে। জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে এদিন একটি তর্ক-বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জেসিন্ডা। ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিনসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আধ ঘণ্টা তর্ক-বিতর্কে অংশ নেন তিনি।
গাঁজার প্রসঙ্গ ওঠায় তিনি স্বীকার করেন, এক সময় গাঁজা সেবন করেছেন তিনি। জুডিথ কলিনস অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কোনওদিন গাঁজা সেবন করেননি। এবং নিউ জিল্যান্ডে গাঁজা বৈধ করার বিপক্ষেই ভোট দেবেন তিনি। কারণ, গাঁজা সেবনে দেশের যুবসমাজের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আগামী নির্বাচনে জেসিন্ডার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেসিন্ডা যা করেছেন তা বিশ্বের বহু দেশের সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। করোনা প্রতিরোধে জেসিন্ডার একের পর এক পদক্ষেপ প্রশংসা কু়ড়িয়েছিল। ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিন্সও নিউ জিল্যান্ডে একজন জনপ্রিয় নেতা। ফলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
আরও পড়ুন : মিডিয়া থেকে ‘মোদীয়া’,’আস্থা’য় ন্যায়বিচার, প্রকাশ পাচ্ছে ‘নিউ ইন্ডিয়া’র ডিএনএ