মানবাধিকার (Human rights) সংক্রান্ত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় লঙ্ঘন করা হচ্ছে ভারতে। তার মধ্যে অন্যতম মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা। এমনই দাবি আমেরিকার। সদ্য প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন (US) বিদেশ দপ্তরের একটি রিপোর্ট। সেখানেই দাবি করা হয়েছে, অন্তত ১২টি ক্ষেত্রে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। তবে এরই পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে ভারত সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসাও করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
‘২০২০ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ নামের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্তত ১২টি ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ভারতে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বেআইনি ও অযৌক্তিক খুন, থানায় পুলিশের হাতে নৃশংস ও অমানুষিক অত্যাচারের ফলে মৃত্যু, জেলার মধ্যে আধিকারিকদের হাতে অত্যাচার, সরকারি সংস্থার হাতে অযৌক্তিক ভাবে গ্রেফতারি, জেলের ভয়াবহ অবস্থা প্রভৃতি।
মার্কিন এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অনেক ক্ষেত্রে খর্ব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেআইনি ভাবে সাংবাদিকদের গ্রেফতার ও তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করে সংবাদপত্রের বাক-স্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধ-বিক্ষোভের মধ্যেই আগামীকাল ঢাকা যাচ্ছেন মতুয়া মন জয়ে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী
আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছে, যে সব সংস্থা বা ব্যক্তি সমানাধিকারের জন্য লড়াই করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও অনেক সময় মিথ্যে মামলা করা হয়েছে। কেউ সরকার বিরোধী মন্তব্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের করে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেসরকারি সংস্থা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যা বেআইনি। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করা হয়নি। কোনও ক্ষেত্রে আবার অতিরিক্ত সক্রিয়তা দেখিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ ছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতা অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে এই রিপোর্ট। ভারতে এখনও জোর করে শিশুদের শ্রমিক হিসাবে কাজ করানো কিংবা মহিলাদের উপর জোর খাটানোর মতো সমস্যা রয়েছে বলেও জানিয়েছে এই রিপোর্ট।
আরও পড়ুন: অবশেষে সরল দৈত্যাকৃতি জাহাজ, সুগম সুয়েজ খাল, স্বস্তিতে ইউরোপ-এশিয়ার বাণিজ্যমহল