পুজোর আগে ভারতে ইলিশ পাঠানোর বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশের সেখ হাসিনা সরকার। তারই সুবাদে এপার বাংলার বাঙালির পাতে পড়েছে পদ্মার ইলিশ। পাল্টা সৌজন্য দেখাল ভারতও।
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু করতেই বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করছে ভারত। তবে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে ২৫,০০০ টন পেঁয়াজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন ও ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে একথা জানানো হয়েছে। বলা যেতে পারে হাসিনার সমস্যা সমাধানে কাজ দিল ইলিশ ডিপ্লোমেসি।
বাংলাদেশে বর্তমানে পেঁয়াজের চাহিদা তুঙ্গে। দর চড়েছে তরতরিয়ে। কোথাও কোথাও এই দাম ৯০ টাকা প্রতি কেজি। বাংলাদেশজুড়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিরোধীদের। এবার সেইসব ক্ষোভে জল ঢেলে বাংলাদেশ পেঁয়াজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত।
আরও পড়ুন : গোপন তথ্য চিনে পাচারের অভিযোগে ধৃত চিনা মহিলা-সহ তিন
সরকারি সূত্রে খবর, বন্ধু বাংলাদেশকে তাদের প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে ২৫,০০০ টন পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। ওই পেঁয়াজ পাঠানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের আগে বাংলাদেশকে ২৫০ ট্রাক পেঁয়াজ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু রফতানি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তা দুদেশের সীমান্তে আটকে যায়। তবে এনিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে বিষয়টি জানান ভারতে বাংলাদেশ হাই কমিশনার মহম্মদ ইমরানকে। তার পরেই এই জট খুলল।
ভারত রপ্তানি করবে না জেনে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পেঁয়াজ মজুত করতে শুরু করেছিল। তাছাড়া বাংলাদেশ জানিয়েছে, পাকিস্তান ও চিন তাঁদের পেঁয়াজ রপ্তানি করতে রাজি। ফলে ভারতের সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দূরত্ব সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর এই সুযোগের ফায়দা নিচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। যদিও গত বছর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি ঘোষণা করেছিলেন, ভারত থেকে তাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। তাহলে এবারও ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় কেন বাংলাদেশকে বিপদে পড়ে হল, দেশবাসী হাসিনার সরকারের কাছে জবাব চাইছে।
এমনিতেই পড়শী নিয়ে ঝামেলায় রয়েছে নয়া দিল্লি। পাকিস্তান তো ছিলই। নয়া ঝামেলা চীন।তার থেকেও নয়া নেপাল। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা একেবারেই উচিত হবে না বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। আর নয়া দিলি সেটা চাইছেও না। এই পরিস্থিতিতে চীন যে সব রকমের সুযোগ নিয়ে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করতে পারে। তা নয়া দিল্লির অজানা নয়।
আরও পড়ুন : বাংলার পুলিশ তৃণমূল বাঁচাতে ব্যস্ত, জঙ্গি খোঁজার সময় কই: অধীর চৌধুরী