নিজের সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারের পদ থেকে সরে যাচ্ছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। চলতি বছরের শেষের দিকেই ওই পদ ছেড়ে দেবেন বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি। মঙ্গলবার এ কথা নিজেই জানিয়েছেন জেফ। চিফ এগজিকিউটিভের পদে তাঁর জায়গায় বসবেন অ্যান্ডি জ্যাসি। জ্যাসি এখন অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিসের প্রধান হিসাবে কাজ করেন।
জেফ বেজোস ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। এখন তা ট্রিলিয়ন-ডলার কোম্পানি। বর্তমানে কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ১২ হাজার ৫৬০ কোটি ডলারের। যা বেজোসকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় স্থান দিয়েছে।
অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে কর্মীদের উদ্দেশে এক চিঠিতে বেজোস জানিয়েছেন, ‘চিফ এগজিকিউটিভের চেয়ারে বসে অ্যামাজনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যস্ত থেকেছি। বেজোস আর্থ ফান্ড, ব্লু অরিজিন, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং আমার বিভিন্ন স্বপ্ন পূরণের জন্য ফান্ডও জোগাড় করেছি। এখন অত উৎসাহ নেই। তবে এটা অবসরও নয়। অন্যান্য উদ্যোগগুলিতে মনোনিবেশের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তাই এই সিদ্ধান্ত।’
তাঁর পদে বসতে চলা জ্যাসি আমাজনে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯৭ সালে। কেরিয়ারের শুরুতে বিপণন ব্যবস্থাপক পদে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তবে দ্রুত সংস্থার প্রযুক্তিগত দিকটির ভার নেন। অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস বিভাগের কাজ নতুন করে সাজে তাঁর হাত ধরেই। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস এখন ৫০০০ কোটি ডলারের ব্যবসা দেয় প্রতিবছর।
২০০৩ সালে তিনি শুরু করেন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস।৫৭ জনের দল নিয়ে বদলে দেন অ্যামাজনের প্রযুক্তিগত ধাঁচ। কী ভাবে অ্যামাজন প্রযুক্তি কিনবে, ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়েই বা কী ভাবে কাজ করবে, সব কিছু ঢেলে সাজান। ফলও মেলে দ্রুত। অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিস ক্রমশ ব্যবসা বাড়াতে শুরু করে।
জ্যাসির সম্পর্কে বেজোস বলেছেন, ‘‘সংস্থার খুব পরিচিত মুখ অ্যান্ডি। ওর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ওর উপর আমার পুরো আস্থা রয়েছে।’’