হিংসার আবহেই জয়ের শংসাপত্র পেলেন বাইডেন -কমলা, অবশেষে পরাজয় স্বীকার ট্রাম্পের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে অবশেষে জয়ের সিলমোহর পেলেন জো বাইডেন। তেসরা নভেম্বরের ভোটে যে জো বাইডেনই জিতেছেন, সেটা এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স। এরপরেই হার স্বীকার করে নেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই সবের আগে এক প্রস্ত নাটক হল মার্কিন সংসদে যার জেরে সারা বিশ্বে মাথা হেঁট হয়ে গেল আমেরিকার।

বুধবার যৌথ অধিবেশন ছিল মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে। সেখানেই হামলা করেছিল ট্রাম্প সমর্থকরা। উত্তেজিত ট্রাম্প সমর্থকরা বাইডেনের স্বীকৃতির অধিবেশনের বিরুদ্ধে লন্ডভন্ড করেন গোটা ক্যাপিটল ভবন। ভেঙে ফেলা হয় জানালা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায় পুলিস। প্রাণ হারান ১ মহিলা-সহ মোট ৪ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফের শুরু হয় অধিবেশন। তারপরই স্বীকৃতি পেলেন জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি অভিষেক জো বাইডেনের। সেদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন বাইডেন।

নির্বাচনে ইলেক্টোরাল ভোট তো বটেই পপুলার ভোটেও জয়ী হয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতের শরণাপন্ন হলেও বারবার বিচারপতিদের রায় গিয়েছে তাঁর বিপক্ষে। প্রায় প্রত্যেকটি আদালতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর দল।

আরও পড়ুন: মন্দিরে ভাঙচুর, মামলা দায়ের করলেন খোদ পাক প্রধান বিচারপতি, শুনানি ৫ জানুয়ারি

এদিন ট্রাম্প বলেন যে কুড়ি তারিখ তিনি কুরসি ছাড়বেন। তাঁর মতে এত ভালো রাষ্ট্রপতি পদে চার বছরের মেয়াদ আগে দেখেনি আমেরিকা। সুষ্ঠু ভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে বলেই আশ্বাস দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন যে ভোটের ফলাফল তিনি মানেন না ও সত্য তাঁর পক্ষে, তবুও তিনি পদ ছাড়বেন ওদিন। তবে আমেরিকাকে মহান বানানোর লড়াই যে ফের শুরু হচ্ছে, সেটাও বলেন তিনি।

এদিন সংশাপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যারিজোনা ও পেনসেলভ্যানিয়ার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কিছু রিপাবলিকান। তবে সেনেট ও হাউস, উভয় কক্ষ্যেই পরাজিত হয় সেই দাবি। অধিকাংশ রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধি ভোটের ফলাফল ন্যায্য, সেই কথাকেই মান্যতা দেন। চার বছর ধরে ট্রাম্পের সব কথা মানলেও, এদিন পেন্স বলেন যে তাঁর কিছু করার নেই। হিংসা নয়, স্বাধীনতারই জয় হয়। এই রকম হিংসার পর বিভিন্ন মহল থেকে ট্রাম্পকে ইমপিচ করারও একটা দাবি উঠছিল। সেই সব দিক বিচার বিবেচনা করেই সম্ভবত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন যে তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে কুরসি ত্যাগ করবেন।

আরও পড়ুন: ‘পৃথিবীর গণতন্ত্রের উপর হামলা’, ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার নিন্দায় মুখর মোদী সহ বিশ্বনেতারা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest