৩টে বিয়ে, ৬টা সন্তান, ৮ কোম্পানি! জানুন পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি সম্পর্কে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নতুন বছরের শুরুতেই জেফ বেজোসকে ছাপিয়ে গেলেন এলন মাস্ক। অ্যামাজন কর্ণধারকে টপকে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হলেন ‘টেসলা’, ‘স্পেস এক্স’–এর মালিক। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ–টালিত গাড়ি কোম্পানির শেয়ার দর ৪.‌৮% বাড়তেই ‘‌ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স’–এর তালিয়ে জেফকে পেছনে ফেলে উপরে উঠে এলেন মাস্ক। গত ২০১৭ সাল থেকে এই তালিকায় শীর্ষে ছিলেন অ্যামাজন কর্ণধার। এদিন সকালেই নিউ ইয়র্কে এলন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৮.‌৫ বিলিয়ন ডলার, যা জেফের মোট সম্পত্তির তুলনায় ১‌.‌৫ বিলিয়ন ডলার বেশি।

হিসেব বলছে, অতিমারী আবহে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়িয়ে নিয়েছে টেসলার মালিক। ইতিহাসে কোনও ব্যক্তিই এত দ্রুত সম্পত্তি বাড়াতে পারেননি!‌ ধারাবাহিকভাবে মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি গত বছর থেকে টেসলার শেয়ার দর এখনও পর্যন্ত ৭৪৩% বেড়েছে। এছাড়াও প্রচুর বিনিয়োগ এসেছে। যার জেরেই এই উত্থান।

এলন মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তিনি ১৭ বছর বয়সে কানাডা এসেছিলেন। একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যালেনের মা জানিয়েছেন তার ছেলে সবসময় অন্য জগতে বিরাজ করত। ঘুমানোর সময়ে স্বপ্নে ভেসে থাকত। আমি মন খারাপ করতাম। কিন্তু পরে এটা মানিয়ে নিয়েছি। এলনের সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। এলন বলেছেন যে তাঁর শৈশব অনেক সমস্যায় ভরা ছিল। বেশ কয়েকবার বাবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল তিনি।

তবে ছোট থেকেই বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন এলন। ৯-১০ বছর বয়স থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করেছিলেন। একটি স্পেস থিম দিয়ে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল এবং এটি একটি কম্পিউটার ম্যাগাজিনে ৫০০ মার্কিন ডলারে বিক্রয় করেছিল। এই গেমটির নাম ব্লাস্টার এবং এটি আজও অনলাইনে খেলা যায়। অ্যালানের শৈশবকাল বেশিরভাগ সময় বই পরে কাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কনেপক্ষের পাতে মাংস কম! বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষ প্রাণ গেল কাকার

একসময় দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে কানাডায় চলে এসেছিলেন কারণ তিনি সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে চাননি। তিনি পিএইচডি করতে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু মাত্র দুদিনের মধ্যেই তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে আসেন। কারণ সেই সময়ে ইন্টারনেটের জগতে তিনি মিশতে চেয়েছিলেন।

২০০০ সালে কানাডিয়ান লেখক জাস্টিনকে বিয়ে করেছিলেন। এই সম্পর্ক আট বছর ধরে স্থায়ী হয়েছিল। এলন এবং জাস্টিনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ২০০৮ সালে। এর পরে ২০১০ সালে তিনি ব্রিটিশ অভিনেত্রী তালুলা রিলিকে বিয়ে করেছিলেন। দু’বছর পর তাদের সম্পর্কের অবসান ঘটে। তবে ২০১৩ সালে তারা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু তিন বছর পরে তারা ফের আলাদা হয়ে যান। এরপরে, এলন এবং সুপারস্টার অভিনেত্রী আম্বার হার্ডের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচুর শিরোনাম পেয়েছিল পরে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়।

ইলন মাস্কের প্রথম স্ত্রী জাস্টিনের ৬ জন সন্তান রয়েছে। যার মধ্যে একজন মারা গিয়েছে। এই পাঁচ জনই ছেলে। এলন এবং তার বান্ধবীর এই বছরের মে মাসে একটি ছেলে হয়েছে।

এলন মাস্ক প্রতি সেকেন্ডে ৬৭ লাখ টাকা উপার্জন করেন। কিন্তু তারপরেও তিনি বিষয় সম্পর্কে বিভ্রান্ত থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে।এলন মাস্ক এখনও পর্যন্ত ৮ কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেছে, যার মধ্যে স্পেস এক্স, টেসলা, হাইপারলুপ এবং বোরিং মতো বিখ্যাত কোম্পানি রয়েছে।

আরও পড়ুন: ইমপিচমেন্টের দাবি জোরালো হতেই ‘শান্তি’ চাইলেন ট্রাম্প, ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা টানলেন বাইডেন

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest