মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে আদানি গোষ্ঠির ভূমিকা ফাঁস!

মিয়ানমারের ইকোনমিক কর্পোরেশনের সঙ্গে ৩ কোটি ডলার চুক্তি হয়েছিল আদানির। এটি ছিল মূলত ‘ল্যান্ড লিজ ফি’।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মিয়ানমারে সেনা নিয়ন্ত্রিত ব্যাবসায়ী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে ৩০ মিলিয়ন ডলার চুক্তি করেছিল আদানি গোষ্ঠি। সম্প্রতি এমন রিপোর্ট সামনে এসেছে।মিয়ানমারে যেসব বিদেশী কোম্পানি কাজ করছিল, ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাদের ওপর চাপ বাড়ছিল। প্রতিবাদীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন শুরু করে দিয়েছিল সেনা। লিজ আনুযায়ী রেঙ্গুনের নৌবন্দরের কাজ শেষ করার কথা ছিল আদানির। সেনা নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠি মিয়ামনার ইকোনমিক কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি ছিল তাদের। এমনটাই জানিয়েছে এবিসি নিউজ।

গতমাসে আদানি গোষ্ঠি একটি বিবৃতিতে দাবি করে যে, মিয়ানমারে সেনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। বন্দরের জন্য কোনও সেনানায়কের কাছে আদানি গোষ্ঠি সম্মতি আদায় করেনি। কোম্পানির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বন্দরের কাজ পেতে সেনা নেতৃত্বের সম্মতি আদায়ের জন্য আমরা আগেও কোনও প্রকার চেষ্টা করিনি এবং পরেও করেনি।’

মিয়ানমারের ইকোনমিক কর্পোরেশনের সঙ্গে ৩ কোটি ডলার চুক্তি হয়েছিল আদানির। এটি ছিল মূলত ‘ল্যান্ড লিজ ফি’। রেঙ্গুন রিজিওন ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের যে রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে তাতে সে কথায় বলা হয়েছে। আদানি গোষ্ঠি যেভাবেই সাফাই দিক না কেন, ভিডিও কিংবা ছবি কিন্তু সেকথা বলেছে না। এবিসি নিউজ যে সব ছবি ও ভিডিও সামনে এনেছে তা আদানির দাবিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে।

আরও পড়ুন: মোদী বিরোধিতায় উত্তাল বাংলাদেশ, চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে হত ৪ প্রতিবাদী, ঢাকায় আহত শতাধিক

দেখা গিয়েছে ২০১৯ এর জুলাই মাসে আদানি পোর্টসের চিফ এক্সেকিউটিভ করণ আদানি মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিং অং হাইং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিয়ানমারের এই সেনা প্রধানই নির্বাচিত সরকারকে উত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সেনা উত্থানে সামনেই থাকা বেশ কিছু জেনারেলের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা হিংসার সময় থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০১৭ থেকে তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

২৫ মার্চ থেকে মায়ানমার ইকোনোমিক কর্পোরেশন এবং মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিং পাবলিক লিমিটেডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী এমন তথ্যই মিলেছে। মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সেনাদের ব্যবসা মার খায়। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেনা পরিচালিত কোম্পানি গোষ্ঠী গুলির অনেকেরই একাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যায়। মিয়ানমারের অর্থনীতির একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই কোম্পানিগুলি। যাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ, এলকোহল, সিগারেট, এবং উপভোক্তা সামগ্রী।

মানবাধিকার আইনজীবী রাওয়ান আরাফ এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন যে, সেনা নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠির সম্পর্কের কথা গত মাসের সেনা শাসনের সময় প্রথম ফাঁস হয়। আরাফ বলেন, ‘আদানি প্রকাশ্যে বহুবার বলেছে তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের এমইসি কোম্পানির কোনও সম্পর্ক নেই। সমস্যা সেখানেই।’

আরও পড়ুন: বিরল ঘটনা জাপানে! সময়ের অনেক আগেই প্রস্ফুটিত চেরি, দেখুন অপূর্ব ছবি…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest