কোভিড অতিমারীর প্রকোপে রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রয়াত হলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র সতীশ ধুপেলিয়া। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
তাঁর দিদি উমা ধুপেলিয়া রবিবার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। বলেন, ‘‘আমার ভাই একমাস নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর প্রয়াত হয়েছেন। চিকিৎসা চলাকালীনই তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে।’’
মহাত্মা গান্ধীর ছেলে মণিলাল গান্ধীর তিন সন্তানের মধ্যে একজন ছিলেন সীতা ধৈর্যবালা গান্ধী। শশিকান্ত ধুপেলিয়াকে বিয়ের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে দীর্ঘদিন বসবাস করেন। তাঁর ৩ সন্তানের মধ্যে সতীশ একজন। সতীশ দীর্ঘদিন দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমে চিত্রগ্রাহক হিসাবে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হল পর্নহাব, প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ থাইল্যান্ডবাসীদের
এছাড়া তিনি কাজ করেছেন গান্ধী ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের হয়েও। ডারবানে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ প্রচার ও সমাজের কাজে তিনি ব্রতী ছিলেন। জাতপাত দূরে সরিয়ে তিনি কাজ করতেন নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য। সমাজকর্মী হিসাবেও তাঁর পরিচিতি ছিল।১৮৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আখের খেতে কাজ করতে আসা ভারতীয় শ্রমিকদের স্মৃতিতে গঠিত হেরিটেজ ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে তাঁর সক্রিয় সংযোগ ছিল।
সতীশের মৃত্যুর পর দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গেলেন গান্ধী বংশের আরও দুই সন্তান। উমা ধুপেলিয়া এবং কীর্তি মেনন। কীর্তি থাকেন জোহানেসবার্গে।
আরও পড়ুন: এ কোন সকাল…! টানা ২ মাস সূর্য উঠবে না আলাস্কার এই শহরে