জেলে দু’দল কয়েদির মধ্যে সংঘর্ষ, মুন্ডু কাটা গেল ১৬ জনের, হত ৫৭

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: ব্রাজিলের জেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড। জেলের ভিতরেই গ্যাংওয়ার। যার জেরে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৫৭ বন্দির। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে ১৬ জনকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ব্রাজিলের পারা জেলে।

জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। আলতামিরা একটি জেলে দু’দল ড্রাগ পাচারকারীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রক্ষীদের সামনেই জেলের একটি সেলে আগুন লাগিয়ে দেয় একদল ড্রাগ পাচারকারী বন্দি। যে ১৬ জন প্রাণে বাঁচতে সেল থেকে কোনও ভাবে বেরিয়ে এসেছিল, তাদের ধরে বড় ছুরি দিয়ে মাথা কেটে ফেলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। যা নৃশংসতার মাত্রা ছাড়িয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কাটা মুন্ডু নিয়ে রীতিমতো ফুটবল খেলছে বন্দিরা। জেল প্রধান জার্বাস জানান, গোটা বিষয়টাই পূর্ব-পরিকল্পিত। কিন্তু কোনওভাবেই বিষয়টা তাদের গোচরে আসেনি। দুই গোষ্ঠী একে অপরের উপর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লড়াইতেই ঘটে যায় এতবড় ঘটনা।

পরে এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জেলের যে সেলে ড্রাগ পাচারকারীদের একটি কুখ্যাত চক্র ‘কম্যান্ডো ভারমেলহো’ বা ‘রেড কম্যান্ড গ্যাং’-এর অপরাধীরা বন্দি ছিল, সেটিতে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় ড্রাগ পাচারকারীদের প্রতিদ্বন্দ্বী চক্র ‘কম্যান্ডো ক্লাস এ গ্যাং’-এর বন্দিরা। আগুনে পুড়েই মৃত্যু হয় বেশির ভাগ বন্দির।

যতদিন যাচ্ছে, অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে ব্রাজিলে। বন্দিদের সংখ্যার নিরিখে গোটা বিশ্বে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাজিলের নাম। ফলে পরিস্থিতি মারাত্ম আকার নিচ্ছে। গত মে মাসেই উত্তর ব্রাজিলের আমাজোনাসে জেলে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। বছরদু’য়েক আগে ওই আমাজোনাসেই এক সপ্তাহ জুড়ে জেলে জেলে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ১৫০ জনের।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest