মধ্যরাতের পর ব্ল্যাকআউট, গভীর অন্ধকারে ডুবে গেল পাকিস্তান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে গভীর অন্ধকারে ডুবে গেল পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেদেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতের কিছুক্ষণ আগে প্রায় একইসঙ্গে একাধিক শহরে বিদ্যুৎ চলে যায়। ব্ল্যাকআউটের মুখে পড়ে করাচি, রাওয়ালপিণ্ডি, লাহোর, ইসলামাবাদ, মুলতান-সহ একাধিক শহর।

স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্ধকারে ডুবে যায় পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর। ব্যাহত হয় মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। ব্ল্যাকআউটের জেরে করাচিতে জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিষেবা চূড়ান্ত বিপর্যস্ত হয়। মধ্যরাতে গভীর অন্ধকারে ডুবে যায় রাজধানীও।

প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, সিন্ধ প্রদেশের গুড্ডু পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রথম বিভ্রাট হয় রাত ১১টা ৪১ মিনিটে। পাক সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ জানাচ্ছে, ৫০০ কেভিএ ট্রান্সমিশন লাইনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে পাকিস্তান জুড়ে ব্ল্যাকআউট হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কিছু ক্ষণ সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘পৃথিবীর গণতন্ত্রের উপর হামলা’, ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার নিন্দায় মুখর মোদী সহ বিশ্বনেতারা

পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আয়ুব রাতেই টুইট করে জানিয়েছেন, ‘বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থায় হঠাৎ করেই সমস্যা দেখা দেওয়ায় দেশ জুড়ে ব্ল্যাকআউটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের সমস্ত কর্মীরা সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে কাজ শুরু করেছে। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী হিসেবে আমি নিজে পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছি’। পাশাপাশি, দেশবাসীকে এই সমস্যার জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানিয়েছেন আয়ুব।

পাকিস্তান ব্ল্যাকআউট হওয়ার পর পরই টুইটারে #ব্ল্যাকআউট কথাটি ট্রেন্ডিং হয়েছে।এর আগে ২০১৫ সালে ব্ল্যাকআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। রাজধানী ইসলামাবাদ-সহ দেশের ৮০ শতাংশ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। ন্যাশনাল গ্রিড বসে যাওয়ার কারণে সেই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল গোটা পাকিস্তানকে। লাহৌর বিমানবন্দরেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

তৎকালীন বিদ্যুৎমন্ত্রী আবিদ শের আলি গোটা ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। সেই সঙ্গে অভিযোগ তুলেছিলেন, বিদ্রোহীরা দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তান প্রদেশের নাসিরাবাদ জেলায় পাওয়ার গ্রিড বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার কারণেই ব্ল্যাকআউট হয়েছিল গোটা পাকিস্তানে। এ বারের কারণ যদিও এখনও পরিষ্কার নয়।

আরও পড়ুন: ৬২ জন যাত্রী নিয়ে সমুদ্রে ভেঙে পড়ল বিমান, সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest