মমির মুখে সোনার জিভ (Golden Tongue)। হ্যাঁ কোনও গল্প নয়, একেবারে সত্যি এমন মমির হদিশ মিলেছে মিশরে (Egypt)। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই মমির বয়স কম করে ২ হাজার বছর পুরনো। উত্তর মিশরে এমন মমি দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। শুধু তাই নয়, ২০০০ বছর আগেও যে মাস্ক ছিল, তাও আবার সোনার, সে কথাও জানতে পেরেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুর পরেও ‘অন্য জীবনে’ যাতে তাঁরা ‘কথা বলতে পারেন’ সে জন্যই তাঁদের মমিতে সোনার জিভ বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেগুলি শবাধারবন্দি করার সময়।
যে মন্দিরটির লাগোয়া এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে সোনার জিভ বসানো দু’টি মমির হদিশ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা, সেই মন্দিরটি রয়েছে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী আলেকজান্দ্রিয়া শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি মফস্সলে। মন্দিরে যে দেবতার মূর্তি রয়েছে মিশরীয় ভাষায় তার নাম- ‘টাপোসিরিস মাগনা’।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রক্তের বন্যা! অবশেষে জানা গেল আসল কারণ
মমি রাখার ওই ১২টি প্রকোষ্ঠ থেকে সোনার আরও কয়েকটি জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে মিশরের মৃত্যুদেবতা ‘ওসিরিস’-এর সোনার মূর্তিও। মৃত্যুর পর মিশরে যে মুখোশ পরানো হত মৃত ব্যক্তিকে (‘ফিউনারাল মাস্ক’), সোনা দিয়ে বানানো সেই মুখোশেরও হদিশ মিলেছে।
প্রসঙ্গত, সমাধি দেওয়ার সময়ে মিশরের ফারাও তুতানখামেনকেও সোনার মুখোশ পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর হাত ও পায়ের পাতাও মুড়ে দেওয়া হয়েছিল সোনায়।
স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে মোট দু’টি এমন মমি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা, যার মুখে রয়েছে সোনার জিভ। সম্পূর্ণ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সান্তো জোমিঙ্গো ইউনিভার্সিটির ক্যাথলিন মার্টিনেজ়। সে দেশের পর্যটন ও পুরাতত্ত্ব মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মৃত্যুর পর ‘অন্য জীবনের’ সঙ্গে কথা বলতে পারার উদ্দেশেই মৃতদেহর মুখে পরিয়ে দেওয়া হত সোনার জিভ। এই আবিষ্কারগুলিকে উচ্চ ভাস্কর্য ও কারুশিল্পের উদাহরণ বলে জানিয়েছেন আলেকজেন্দ্রিয়া অ্যান্টিকুইটিসের ডিরেক্টর জেনারেল খালেদ আবদো এল হামদ।
আরও পড়ুন: গর্বের মুহূর্ত বাংলার, বাইডেনের প্রশাসনে এবার বাঁকুড়ার সোহিনী